স্মরণ / মনের মানুষের সনে ! স্মরণের বালুকা বেলায় চরণ চিহৃ আঁকি – ইমামুল হাসান স্বপন


ইমামুল হাসান স্বপন-“অনেক কিছু শুরু করার জন্য চেস্টা হয়,কিন্ত করা যায় না।আবার অনেক কিছু এমনিতেই হতে থাকে।আজকের লেখাও তেমনই।কিভাবে যে শুরু হবে তা বোধে আসছিলোনা।
আমাদের অতিপরিচিত ও আপনজন মোহাম্মদ আলী রেজা রিপন গত সোমবার ৭ এপ্রিল ইহকাল ত্যাগ করে পরকালের জন্য যাত্রা করেছেন পরমকরুনাময়ের আহবানে। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্নাইলাহে রাজেউন।”
‘সোমবার সকালে পরিচিত জনদের মোবাইলে অসংখ্য ফোন, ম্যাসেজ আসতে থাকে বিষয়টি নিশ্চিত হবার জন্য।সুস্থ্য সবল মানুষের মৃত্যুটা অনেকের কাছেই সত্য মনে হচ্ছিল না।
মরহুমকে শেষ দেখার জন্য এসে প্রবীন সাংবাদিক জাফর আহমেদ বলেন, রিপনের মরদেহ নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না।
‘ তাঁকে দেখতে সকল শ্রেনী পেশার মানুষ ছুটে যান চুনকা কুটিরে।দলমত নির্বিশেষে সকল নেতৃবৃন্দকে দেখা যায় মরদেহের পাশে।কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দরাও আসেন। নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব,সাংবাদিক ইউনিয়ন, টিভি সাংবাদিক এসোসিয়েশন,ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সহ বিভিন্ন সংগঠন পৃথক পৃথক বিবৃতি দিয়ে শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে। জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে বেশ গুরুত্বসহ সংবাদটি প্রচার করে।
‘অত্যন্ত বিনয়ী ও নিরহংকারী, বিবেক সচেতন ও বুদ্ধিমান এবং মিশুক ব্যক্তি ছিলেন তিনি।ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সকলের সাথে মিশতেন।সকলের সাথে চায়ের কাপ ভাগাভাগি করতেন।সকল ধর্মের অনুষ্ঠানে যেতেন, কারো প্রতি বিদ্বেষ ঘৃণা পোষন করতে দেখায় নি, অন্যায়,অপরাধ ও পাপ কাজ ব্যতীত।
‘ফেসবুক জুড়ে রিপনের ছবি ও মৃত্যুের শোকগাথা ছিল। ফারুক আহমেদ রিপন বলেন,অসুস্থতার কারনে জানাজায় আসতে না পারায় মনটা খুবই খারাপ লাগছে।খুব ভাল মনের মানুষ ছিল রিপন।ছিল না কোন অহংকার।রাজনীতিতে জড়িত ছিল না।বন্ধু সুলভ আচরণ আর অমায়িক ব্যবহার সকলের কাছে ছিল প্রশংসনীয়। ক্ষমতার অপব্যবহার করতে দেখিনি ওকে।পারলে মানুষের উপকার করতো। রিপন কারো উপকার করতে না পারলেও ক্ষতি করেনি।দয়াময় মেহেরবান আল্লাহতালা রিপনকে জান্নাতবাসী করুন।প্রিয় রিপনের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি রইলো গভীর সমবেদনা।আমিন।’
অসীম রায় লিখেছেন, বন্ধু তোমাকে মানুষ এতো ভালোবাসে।নিশ্চত তুমি পরকালে সম্মানিত স্থান পেয়েছো।’ প্রায় অভিন্ন লিখেছেন তাহের হোসেন।বিদেশে অবস্থান করছেন,তাঁরাও লেখেন মৃত্যুতে কস্টের অনুভূতি।
সোমবার হতে ফেসবুকে হাজার হাজার পোস্ট মন্তব্য ও ছবি দেখা যাচ্ছে।যার যার মতো করে অনুভূতিটা প্রকাশ করছেন।অনির্বাচিত এবং অনেকটা আড়াল করে চলা কোন ব্যক্তিকে নিয়ে এতো পোস্ট প্রতিক্রিয়া আগে দেখা যায় নি নারায়ণগঞ্জে। ‘
‘মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাঁর ভালোবাসার রূপ ও পরিধি বদলায়।কৈশোর ও তারুণ্যের ভালোলাগা-ভালোবাসার ধরনের আর পরিণত বয়সের মধ্যে তফাৎ যোজন। বয়স বাড়লে মনের মানুষের সংখ্যা বাড়ে। তখন পরিবারের সদস্য ছাড়াও এমন কিছু লোকজনের সাথে মিলন ঘটে জীবনে, যাঁরা ভালোবাসার পাত্র বনে যান। রিপনও তেমনই একজন।সেই ভালোবাসার প্রকাশ ঘটতেই বুঝি সবাই ছুটে যান চুনকা কুটিরে।আর যাঁরা দূরে ও সঙ্গত কারণে আসতে পারেন নি তাঁরাও আহাজারি আর আফসোস করেন,ফেসবুকে মোবাইলে কল করে ম্যাসেজ দিয়ে।
‘লালন সাঁই সারা জীবন মনের মানুষ খুঁজতে খুঁজতে গেয়ে ফেলেছিলেন,’মিলন হয় না কাপাল গুনে আমার মনের মানুষেরও সনে। আমরা জানি না, রিপন কি নিরবে নিভৃতে লালনের গানটা গাইতেন কি না।’ অথবা নারায়ণগঞ্জ জুড়ে কেবল ভালোবাসার মানুষের সংখ্যাই বৃদ্ধি করে গেছেন কি না।
‘আমাদের জন্য মনের মানুষের সজ্ঞাটা এমন যে, প্রিয় একজন ছাড়াও জীবনে অনেকের আগমণ ঘটে। রিপনের জন্যও এটাই প্রযোজ্য।তাঁর বাবা মা স্ত্রীসহ আরও অনেকে পরকালে আছেন।বিধাতা সম্ভবত তাঁদের সাথে মিলন ঘটাতে রিপনকে নিয়ে গেছেন।
‘দাফন কাজের সময় দেখা হতেই আবুসাঈদ কাদেরী বললেন, মানুষ মারা গেলে ভালো মন্দ সব আলোচনা হয়।কিন্তু ওনার নামে ভালো ব্যতীত খারাপ কেউ বলছেন না। জনপ্রতিনিধির পরিবারের সদস্যদের আচরণ এইদেশে যেমন হয় রিপন ছিলেন উল্টো। অনেক আমি সময় না দেখলেও তিনি দেখে ডাক দিতেন।কোন মান গরিমা ছিল না।শেষে বললেন, এখনতো আড্ডা শেষ আপনাদের,আর কার সাথে গভীর আড্ডা জমবে।কে সকলক শ্রেনীর বন্ধুদের এক সাথে ডেকে এনে বসাবে।’
‘রাসেলপার্ক, পালপাড়া, দুই নংবাবুরাইল, বোস কেবিন,ফানক্লাব,পাগলার মদিনা হোটেলসহ বহু স্থানে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা আর ভোজন মনকে দোলা দেয়। আর কি হবে বন্ধুদের সেই মিলন মেলা?
‘ঢাকা হতে মো:আলম এসেছিলেন জানাজায় অংশ নিতে।তিনি বলেন, আমার সাথে যে রকম কৌতুক করতেন, মনে হয় না আর কারো সাথে এ রকম মিশতেন । এভাবে সমীর রায় বললেন,কেমনে বিশ্বাস করি রাত সাড়ে এগারোটায় মামারে বাড়ির গেটে দিয়া গেলাম।আমার সাথে যতো সময় কাটিয়েছেন তা মনে হয় না কারো সাথে এমন দিয়েছেন।
আলী রেজা রিপনের বন্ধু ও পরিচিত জন
মো: মুকুল,টনি, ফারুক, ভূইয়া,মিঠু, রুহুল স্বপন, হুদা বাবু, জাকির, জুয়েল,সাঈদ সহ গোটা নারায়ণগঞ্জের প্রায় হাজার জন বিড়বিড় করে একই কথা বলেছেন মরদেহ দেখতে এসে। তাদের সাথে গভীর সস্পর্কের বিষয়টা। রিপন যেনো সকলের মনের মানুষ ছিলেন।
(এখন ধৈর্য ধরো:)
‘ রিপনের এই চলে যাওয়া আমাদের দৃস্টিতে অকাল হলেও আসলে তা নয়। নির্ধারিত সময়ে তাঁর ডাক এসেছে।যাঁর জন্য যখন নির্ধারিত সময়, সেটা রদ করার ক্ষমতা যেমন কারো নাই।
কস্ট হলেও সত্য, জননেতা আলী আহমেদ চুনকার মৃত্যুর পর বিশাল শূণ্যতা দেখা দেয়। সংগঠন, শহর ও পরিবার অভিভাবকহীন মনে হয়েছিল। তবে আল্লাহ যা নেন, তার চাইতে উত্তম কিছু স্থলাভিসিক্ত করেন।
আমরা দেখতে পাই, চুনকা সাহেবের মেয়ে ডাক্তার আইভি নগরীর দায়িত্ব নিয়ে প্রভূত উন্নয়ণ কর্মকান্ড পরিচালনা করেন।এবং অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে মূর্তপ্রতীক হয়ে দাড়ান। মহান আল্লাহ নিশ্চয় রিপনের চাইতেও উত্তম কাউকে এই পরিবার হতেই দাড় করিয়ে দিবেন বলে বিশ্বাস করি।’
‘তাঁকে শেষ বিদায়ের সময় জানাজায় দাড়িয়ে ছোট ভাই আহাম্মদ আলী রেজা উজ্জল বলেন,আমরা দুটি ভাই ছিলাম। ছোট হতে এক সাথে খেলাধূলা করেছি। বড় ভাই, পাকপাঞ্জাতন ও আহলে বয়াতের গোলাম ছিলেন।প্রতিদিন বাড়িতে খানকা শরীফে সন্ধ্যায় আগরবাতি দিতেন। বাবা ছিলেন নকশাবন্দ তরিকার খলিফা।বাবাকে অনুসরণ করতেন । বাবুরাইল আজমেরি গলিতে ওরশের যাবতীয় উদ্যোগ নিতেন বড় ভাই।তিনি বহু ভালো কাজের সাথে জড়িত ছিলেন।
——- আমার ভাই যদি কারো মনে কস্ট দিয়ে থাকেন আপনারা আল্লাহ’র ওয়াস্তে মাফ করে দিয়েন।
আলী রেজা উজ্জলের হৃদয় নিংড়ানো ও আহাজারি ভরা কথা গুলো উপস্থিত কয়েক হাজার মানুষের চোখে পানি জমে ছলছল করে।কারো গড়িয়ে পড়ে।
‘জানা যায়, আলী রেজা রিপন বিভিন্ন সামাজিক ক্রীড়া সাংস্কৃতিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িত ছিলেন। এলাকার মসজিদ কমিটির সভাপতি আহাম্মদ আলী বেপারি জানাজার আগে বলেন,রিপন এই মসজিদ নির্মাণে কাজ করেছেন।তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি অনেক ভালো মানুষ ছিলেন।
জানাগেছে,মিন্নত আলী শাহ মাজার শরীফের মসজিদ নির্মাণেও কাজ করেছেন।
( পেছনের দিন গুলি)
২০০২ সালের কথা। একদিন বিকালে মোবাইলে একটেল নাম্বার হতে কল এলে অপরপ্রান্ত হতে জানান, আমি রিপন,শুক্রবার বিকালে আমাদের পুরান বাড়িতে থাকিস। সেই হতে সোমবার পর্যন্ত পথ চলা।তবে স্কুলরজীবনেও ছিল বন্ধুত্বে।) বাদ আছর সেখানে আমি ও সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত হই। দেখেই বলেন, খুবখুশি হয়েছি।বলছিলো,শোন্ আপায় (ডা:আইভি) ইলেকশান করবেন। আমি তাঁর সাথে কথা বলেছি। মিটিং হবে বস্। শুভ, রোবেল ওরা এসে চা দিলো। মিটিং শেষে সিদ্ধান্ত হলো ডা,সেলিনা হায়াত আইভি পৌর নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন।
‘গত সিটি নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রথম বৈঠকে ডা, সেলিনা হায়াত আইভির মুখেই শুনেছি, রিপন তাঁকে ফোন করে বলেছিলো,আপা আপনাকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমি বাড়ি এলাম কয়েকজনকে নিয়ে বের হলাম মনোনয়ণ জমা দিতে।পথে মানুষের সাথে দেখা হয় আর আমাদের সাথে চলতে শুরু করে। জেলা প্রশাসক কার্যালয় পর্যন্ত পৌছাতে পৌছাতে বিশাল মিছিলে রূপ নেয়।’
‘ডা:আইভির নির্বাচনে অংশ গ্রহনের এই একটা সিদ্ধান্ত গোটা নগরবাসীর ভাগ্যকে বদলে দিয়েছে যা,নিশ্চিন্তে বলতে পারা যায়। ডা: আইভির নারায়ণগঞ্জে এসে অন্যায়ের প্রতিবাদের প্রতীকে পরিণত হওয়ার নেপথ্যে কিন্তু একজন রিপনের সময়োচিত সিদ্ধান্ত ছিল।এখানে মোহাম্মদ আলী রেজা রিপনের সিদ্ধান্ত গ্রহন ও বিচক্ষনতার প্রকাশ পেয়েছে।’
আমাদের পেশাগত ও সামাজিক কারণে, আলী রেজা রিপনের বিভিন্ন মহলের বন্ধু ও সহকর্মীদের সাথে মিলিত হবার সুযোগ হয়েছে অসংখ্যবার। গত ২৩ বছরে সকলের মাঝে বিশাল পরিবর্তন দেখা গেছে। সম্মোহনী শক্তি ছিল বলেই বন্ধু ও সহকর্মীদের মাঝে ধৈর্য ও বিনয়ের সাথে চেস্টা করার অভ্যাসের বীজটা রোপন করে দিতে পেরেছিলো । চুনকা পরিবারের সাথে রিপনের বন্ধু ও সহকর্মীর সম্পর্কটা নিবিড়। রিপন না থাকলেও সকলে চুনকা পরিবারের সাথেই পথ চলবে।এমনটাই সকলে বলেছেন।
‘ তিনি একজন , দক্ষ সংগঠক, ধর্মভিরু,মানব দরদী,ভোজন রসিক,বন্ধু বৎসল,আরো যতো রকম গুণবাচক বিশেষন আছে, তা তাঁর নামের সাথে যোগ করা যায়।রিপনের সাথে যে যতো মিশেছেন,তাঁরা ততো বুঝেছেন।মোবাইলের পাওয়ার ব্যাংক সাথে থাকলে যেমন।পরিচিতদের জন্য রিপন তেমনই ছিলেন।
(জ্ঞানের পরিধি:)
তাঁর পিতা চুনকা সাহেবের মাজারের জানালার কাচ এক পাগল ভেঙ্গে ফেলেছিল, ।আর বকবক করে এটা ওটা বলছিল।এতে ঐ ব্যক্তির হাত কেটেও যায়।খবর পেয়ে মাসদাইর কবরস্থানে গিয়ে পাগলকে ডাক্তারের কাছে নেন। এরপর খাবারের ব্যবস্থা করেন।অন্য যে কেউ হলে আগে কিছু বা তাড়ানোর ব্যবস্থা করতেন। রিপন ছিল ব্যতিক্রম।কারণ ওঁদের জীবনটাই গেছে পাগল মস্তান আর মানুষের সেবা করে।
আশ্চর্যের ঘটনা শুনলে আপনারা সবাই হতচকি হতে পারেন, শংকর রায় বললেন, জানো ভাই, সেই পাগলকে নিজ হাতে চা বিস্কুট খাইয়ে দিয়েছিল, শিশু বাচ্চাকে যে ভাবে খাওয়ায়,তেমন করেন।এরপর কি ঘটলো জানো- সড়কের পাশেই একটা ট্রাকের আউলিতে গিয়ে পাগল যে কোথায় হাওয়া হলো আর খুজেই পেলাম না সকলে মিলে।।এমনিতেও সারা নারায়ণগঞ্জ শহর ঘুরি আমরা, কিন্তু কোন দিন কোথাও সেই পাগলকে আর দেখি নাই।ভাই পাগল রূপে এটা কে ছিলেন! কি পরীক্ষা নিয়ে গেলেন তিনি?
(সাহস ও দৃঢ়তা)
২০০৪ হতে ডা,আইভির জন্য একটার পর একটা চ্যালেঞ্জ এসেছে।একেকে সময়, একেকটা মহল প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিহিংসার ভয়ংকররূপ নিয়ে হাজির হয়েছে। শামীম ওসমানরা যা করে গেছেন তাতো বিশ্বজনীন।দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিশ্ববাসী জানেন। প্রতিটি আঘাতে আলী রেজা রিপন ঠান্ডা মাথায় নেপথ্যে কিভাবে কি করেছেন মোকাবেলা করতে তা খুব কাছে হতে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে আমাদের। ‘
‘শীতলক্ষ্যা নদীতে যেনো লাশের মিছিল বইছিল-২০১৪ সালে, একটা উপনির্বাচনে ওপেন নেমে পড়েন। বলেছিলো, এই খুনিচক্রকে প্রতিরোধ করতে বাধা সৃস্টি করতে হবে। বিনা চ্যালেঞ্জে ছাড়া যাবে না।অসীম সাহসীকতা নিয়ে প্রতিদিন সহকর্মীদের নিয়ে নেমে পড়তেন।সে বছরই এক সন্ত্রাসী গুম হলে, রেজা উজ্জল ভাগিনা মিমনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করে।রিপনকে জড়ানোর আশংকাও করা হচ্ছিল।এতোদ্ব সত্বেও প্রকাশ্যে লড়াই শুরু করেন। ২নং বাবুরাইলে মিলাদ ও প্রতিবাদ সভায় অংশ নেন। তাঁর সাহসীকতার হাজার হাজার ঘটনার বর্নণা দেয়া যাবে গত দুই যুগের।’
তিনি আজ আর নাই।তবে তাঁর কর্ম রয়েগেছে।অগণিত মানুষ তাঁর মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। আমরা দেখতে পাই আলী রেজা রিপন একজন সৎ চরিত্র ও উত্তম আচরণের মানুষ ছিলেন।তিনি মুসলিম ছিলেন, এজন্য পবিত্র কোরান ও হাদিস হতে এ বিষয়ে উদৃতি করছি,
‘আল্লাহপাক বলেন, তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারও উপাসনা করবে না, পিতা-মাতা, আত্মীয়স্বজন, এতিম ও দরিদ্রদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার তথা সুন্দর আচরণ করবে এবং মানুষকে সুন্দর কথা বলবে। (সূরা বাকারা : আয়াত : ৮৩)।
সুন্দর আচরণ, উত্তম ও কল্যাণকর কাজ, ভালো কথা বলা এগুলো আদর্শ মানুষের বৈশিষ্ট্য। যে ব্যক্তি সুন্দর আচরণ করে এবং নিজের জন্য কিংবা পরের জন্য ভালো কাজ করে সে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে প্রিয় এবং তার রাসূলের কাছেও প্রিয়।
রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যার আচার-ব্যবহার সুন্দর, সে আমার সবচেয়ে বেশি প্রিয় এবং হাশরের সময় আমার সবচেয়ে কাছে থাকবে।’ (সুনানে তিরমিজি)।
রসূল সা: আরও বলেন, ‘ভালো কথা সদকাস্বরূপ’। (সুনানে বায়হাকি)।
রাসূল (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন মুমিনের আমলনামায় সুন্দর আচরণের চেয়ে অধিক ভারী আমল আর কিছুই হবে না। যার ব্যবহার সুন্দর, সে তার ব্যবহারের কারণে নফল রোজা ও তাহাজ্জুদের সওয়াব লাভ করবে।’ (সুনানে তিরমিজি)। নারায়ণগঞ্জের সকলের বর্ণনাতে উঠে এসেছে মরহুম একজন উত্তম আচরণের মানুষ ছিলেন।
আমরা আশা করছি মহানআল্লাহ মোহাম্মদ আলী রেজা রিপনকে উত্তম পুরস্কার বা প্রতিদান দিবেন। তিনি রোজা অবস্থায় প্রস্থান করেছেন।পরোয়ারদিগার,একজন রোজাদারকে সম্মান কি ভাবে দিবেন, সেটাও কোরান মজিদ ও হাদিসে বিবৃত আছে।
ইমামুল হাসান স্বপন।
বার্তা সম্পাদক
দৈনিক খবরেরপাতা

গাছ লাগান পরিবেশ বাচাঁন, যোগাযোগ ভাই ভাই নার্সারী মোবাইল – ০১৭১২২৫৬৫৯১
ফেইসবুকে আমরা
এ সম্পর্কিত আরো খবর...
Narayanganjerkhabar.com is one of the popular bangla news portals. It has begun with commitment of fearless, investigative, informative and independent journalism. This online portal has started to provide real time news updates with maximum use of modern technology from 2019. Latest & breaking news of home and abroad, entertainment, lifestyle, special reports, politics, economics, culture, education, information technology, health, sports, columns and features are included in it. A genius team of Narayanganjerkhabar.com has been built with a group of country's energetic young journalists. We are trying to build a bridge with Bengalis around the world and adding a new dimension to online news portal. The home of materialistic news.
১৭০, ডি,পি রোড (শেখ রাসেল নগর পার্ক)
১৬ নং ওয়ার্ড, নারায়ণগঞ্জ -১৪০০
ই-মেইল- narayanganjerkhabar@gmail.com
ই-মেইল- hasanulrakib@gmail.com
মোবাইল -
01712518787, 01819929601
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা
অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
সকল স্বত্ব www.narayanganjerkhabar.com কর্তৃক সংরক্ষিত
Copyright © 2022 narayanganjerkhabar.com