ফতুল্লায় ভুয়া ডাক্তার গ্রেফতার | ২ বছরের কারাদণ্ড, ৫০ হাজার জরিমান
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পঞ্চবটীর নাজ ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে আব্দুর রশিদ সরকার নামের এক ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেফতার করে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আজ বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এ ভুয়া ডাক্তারকে আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আব্দুর রশীদ সরকার দীর্ঘদিন ধরে মেডিসিন, স্কীন-ভিডি, এলার্জি, নাক-কান, গলা, থাইরয়েড, হেড-নেক বিশেষজ্ঞ ও সার্জন পরিচয় দিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়াস্থ পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও পঞ্চবটীস্থ নাজ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখে আসছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। যা বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর পরিপন্থী হওয়ায় দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং একই সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গ্রেফতারকৃত আব্দুর রশীদ সরকার কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানা পির কাশিমপুরের মৃত বাহার আলী সরকারের ছেলে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ইলোরা ইায়াসমিন জানান, গ্রেফতারকৃত আব্দুল রশিদ ১৯৯২-১৯৯৪ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলার কাঁচপুরস্থ শুভেচ্ছা ট্রেনিং সেন্টার থেকে ডিএমএস কোর্স সম্পন্ন করেন। এরপর সে এক ডাক্তারের তত্ত্বাবধায়নে বেশ কয়েক বছর কাজ করে। পরবর্তীতে লোভের বশবর্তী হয়ে সে এই প্রতারণার কাজ শুরু করে। সে ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি মাসে বগুড়া জেলার আদমদিঘিতে আল সাফা নামক ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে গ্রেফতার হয়। তখন ভ্রামমাণ আদালত তাকে ছয়মাসের সাজা প্রদানসহ একলাখ টাকা জরিমানা করে। পরবর্তীতে আপিল করে দুই মাস কারাগারে থাকার পর বের হয়ে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া পদ্মা কেয়ার ও নাজ ডায়াগনস্টিকে বসেন। অন কলে প্রতি রুগী প্রতি তিনি ৫শ টাকা নিতেন বলে তিনি জানান। #