অনুমোদনের পর প্রকাশ্যে ‘আকসির নগর’
ঢাকার ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের তিন গ্রামের সীমানাজুড়ে গড়ে ওঠা আকসির নগর আবাসন প্রকল্পটি সরকারের গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেয়েছে।এ উপলক্ষে বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সাভারের রেডিও কলোনির জিলিয়ান রেস্তোরাঁয় এক সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই গত কয়েক বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ওঠা জোর করে জমি দখল করে বালু ভরাটের অভিযোগের বিপরীতে প্রমাণাদিসহ একটি কাগজপত্রের তালিকা দেওয়া হয়। এতে আদালতের রায় জালিয়াতি করে অপপ্রচার, ভুয়া অভিযোগে মামলাসহ সকল অভিযোগের সচিত্র প্রমাণ দেওয়া হয়।এসময় গত কয়েক বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগের সচিত্র জবাব তুলে ধরেন আকসির নগরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম। তার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।সংবাদ সম্মেলনে তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সরকারি-বেসরকারি প্রথম শ্রেণির চাকরিজীবীরা মিলে আমরা ওই এলাকায় স্বচ্ছ উপায়ে জমি কিনেছি। সেখানে আমার কেনা জমিতে আমি বালু ফেলেছি। এ ছাড়া অন্যরাও যার যার জমিতে বালু ভরাট করেছে।তিনি বলেন, ওই এলাকায় যখন আমরা নিজেদের জমিতে কাজ শুরু করি; সেখানেই একটি চক্র আমাদের কাছ থেকে জমি কেনায় কমিশন দাবি করে ও বালু ভরাটের কাজ চায়। এতে রাজি না হওয়ায় আমাদের প্রতিষ্ঠানকে জড়িয়ে অপপ্রচার শুরু হয়। নদীর জমি, অন্য দাগের জমি দখল হয়েছে দাবি করে মামলা করা হয়। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হওয়া সত্বেও আমাকে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা বলে অপপ্রচার করা হয়। সেটিও ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জেলা প্রশাসন, ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়, উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটি আলাদা আলাদা তদন্তে সেসব অভিযোগের কোনও সত্যতা পায়নি। আমরা এখন পর্যন্ত কোনও অনিয়ম করিনি। ভবিষ্যতেও এটা অব্যাহত থাকবে।এসময় সরকারের অনুমোদনের সনদপত্র প্রকাশ্যে দেখিয়ে তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি আমরা আবাসন প্রকল্প করার জন্য সরকারের অনুমোদন পেয়েছি। এতদিন পর্যন্ত এই প্রকল্প ছিল আমাদের স্বপ্নের। সেটিই বাস্তবায়ন করা হবে। সেখানে বেআইনি কোনও পদক্ষেপ থাকবে না। একটি সুপরিকল্পিত আবাসিক নগরী গড়তে আমাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।