শিরোনাম
স্মৃতির মণিকোঠায় একজন ববিখাঁন
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ নাট্যাঙ্গনে ক্ষণজন্মা এক মহয়সী অভিনয়শিল্পী ববিখাঁনের যবনিকাপাত ঘটলো। হাজার তারকার ভীড়ে ধ্রুবতারা হয়ে জ্বলে উঠেছিল নারায়ণগঞ্জ নাট্যাকাশে। আড়াই যুগের ববিখাঁন (মাত্র ত্রিশ বৎসর) এলো, জয় করলো, ধ্বপ্ করে নিভে গেল।
ববি খাঁনের পৈত্রিক ভিটা নোয়াখালীতে হলেও নারায়নগঞ্জের খানপুরে নানি বাড়ীতে তার বেড়ে ওঠা। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে সে। নারায়ণগঞ্জ সম্মিলিত নাট্যকর্মী জোটের সদস্যা ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ নাট্য শিল্পী কল্যাণ সমিতির আজীবন সদস্যা।
নাট্যচক্রের কর্ণধার এবং জনপ্রিয় নাট্য পরিচালক ফজলুল হক পলাশের হাত ধরে এই অঙ্গনে তার নিয়মিত পথ চলা। তারই সুবাদে একাধিক ম নাটকে অভিনয় করলেও ইউটিউব-এ ছিল তার জয় জয়কার। অর্ধ শতাধিক নাটকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তন্মধ্যে উল্লেখ যোগ্য “বৃদ্ধাশ্রম” “বাবার লাশ” “নেশা” “ঈমান আলী বেঈমান” “সেলফি” “একুশের বাহনে কুব্বত আলী” “মেবাইলের জন্য খুন” “চলো ফিরে যাই পদ্মায়” “জাকের ভাই” “প্রথম রোজা পহেলা বৈশাখ” “অল²ী” এবং “মডার্ন টেক্সি ড্রাইভার” উল্লেখযোগ্য। সবই জওণঅউ গঊউওঅ সহ গঙঘঙঘ ঞঠ তে সার্চ দিলে পাওয়া যাবে। মিউজিক এ্যালবামের মডেল সহ বিজ্ঞাপন করেছেন গুটি কয়েক।
ববি একটি নাম। একটি প্রতিভা। একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। একটি প্রস্ফুটিত গোলাপ যা অকালে ঝড়ে গেল। প্রেয়সী-জায়া-জননী তিনরূপেই অনন্যা। এই গুনী শিল্পী দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে গত পহেলা সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোর ৬-টায় হাজার শুভাকাংখীদের শোকের সাগরে ভসিয়ে দিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
সব মৃত্যুই চিরতরে চলে যাওয়া যায় না। কীর্তিধন্যদের ক্ষেত্রে একথা শতভাগ প্রযোজ্য। কারন মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এদের শারিরীক প্রস্থান ঘটলেও কর্ম তাদের অনন্ত কাল বাচিঁয়ে রাখে মানুষের হৃদয়ে। তেমনি কীর্তিধন্য নাট্য শিল্পী ববি খাঁন।
ববি খাঁন শুধু একজন অসাধারন মানুষ ছিলেন না। উদার মনের মানুষ ছিলেন তিনি। মানুষ হিসাবে তিনি ছিলেন অত্যন্ত মানবিক। তার ব্যবহার আর কাজ অনন্য। সৃষ্টি কর্তাকে বলব ……… “ ববি যেখানেই থাকুক তাকে যেন শান্তিতে রাখেন।” সবশেষে বলব
“মানুষের অন্তরে বেধেঁ ছিলে ঘর
মরনের পরে তুমি তাইতো অমর।।”