বন্দরে রেলওয়ের জমি দখলের অভিযোগ এহসান উদ্দিন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে !
বন্দর প্রতিবেদকঃ বন্দরে নবীগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে সরকারি রেলওয়ে জায়গা জবর দখল করে স্থাপনা নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বন্দর ইউপি চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের বিরুদ্ধে। রেলওয়ে জায়গাটি রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত জাকির হোসেনের স্ত্রী সুলতানা নিলুফার বানুর নামে কৃষি লীজ রয়েছে। তিনি ১৯৯৫ সাল থেকে এ জায়গা লীজ নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত লীজ মানি দিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে সরকারি রেলের জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার অভিযোগে ও লীজকৃতরা তাদের জমি বুঝে পেয়ে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দফতর, রেলমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, নবীগঞ্জ মৌজায় ৯৫, ৯৬, ৯৭, ৯৮, ৯৯, ১১০, ১১৮, ১১৯, ১৫৫, ১০৭ ও ১০৮ দাগে ৩.৩১ একর জমি লীজ নেন সুলতানা নিলুফার বানু।
এছাড়াও ৯৬ দাগে নবীগঞ্জ এলাকার সোহেল মিয়া ২০১৪ সাল থেকে কিছু জমি রেলওয়ে থেকে লীজ নেন। সড়ক প্রস্থ্য করার সময় জমি ছেড়ে দেয়ার পর বাকি জায়গা তিনি আর দখল পাননি বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ সকল অভিযোগের ভিত্তিতে রেল মন্ত্রনালয় নারায়ণগঞ্জ ডিসিকে জমি উদ্ধার ও ব্যবস্থা নিতে পত্র দেন। সে পত্র মোতাবেক ডিসি এডিসিকে নির্দেশনা দিলে এডিসি ০৫.৪১.৬৭০০.২০৭.২৭.০০২.২০-৪২(সং) স্বারকে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লীজ গ্রহিতা ও জমি দখলকারী ইউপি চেয়ারম্যানকে তার দফতরে ডেকে এ বিষয়ে আলোচনা করেন। এ ব্যপারে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম কুদরত-ই-খোদা জানান, যেহেতু জমিটি রেলের তাই আমি অভিযোগকারীকে রেলে সাথে যোগাযোগ করে রেলে সার্ভেয়ার দিয়ে জমির সীমানা চিহিৃত করে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছি। এ ব্যপারে বন্দর ইউপি চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন এ জমি আমাদের দখলে রয়েছে। আমরা বহু বছর ধরে এখানে দোকান নির্মান করে ব্যবসা করে যাচ্ছি। সড়ক ও জনপদ যখন রাস্তা প্রস্থ্য করবে তখন আমরা দোকান ভেঙ্গে সড়কের জন্য জায়গা ছেড়ে দেই।
সড়কের জায়গা ছেড়ে দিয়ে বাকি জায়গায় আমাদের দোকান পুনরায় সংস্কার করে নিচ্ছি। জমি জবর দখলের প্রশ্নই উঠে না। তবে এ বিষয়টি নিয়ে একটি দুষ্ট ছেলে শুধু শুধু বাড়াবাড়ি করে যাচ্ছে। এদিকে সরে জমিনে ঘুরে দেখা যায়, মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়কের দুই পাশের জমি বিভিন্ন লোকেরা দখল করে তুলার কারখানা, কাঠের দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মান করে রেখেছে। এর মধ্য কারো কাছে কৃষি লীজ আবার অনেকের কাছে কোন কাগজই পাওয়া যায়নি। এ ভাবে সরকারি জয়গা জবর দখল হয়ে যাচ্ছে। এ ব্যপারে স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অন্যায় ভাবে সরকারি জায়গা দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এ সকল অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা সরকারের দখলে নেয়া জরুরী বলে মনে করেছে সচেতন মহল। #