লাশ দাফনের জন্য ২ হাজার টাকা উৎকোচ দাবির অভিযোগ
বন্দর প্রতিবেদকঃ বন্দরে ভাড়াটিয়া এক ব্যাক্তির লাশ দাফনের জন্য ২ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে মরাদপুর কবরস্থান কমিটি সদস্য হাজী মোতালেব মিয়ার বিরুদ্ধে। লাশ দাফনে টাকা নেওয়ার ঘটনায় বিপাকে পড়েছে বাড়িওয়ালাসহ ভূক্তভোগীরা। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চা ল্যের সৃষ্টি হয়। গত বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে বন্দরের দেওয়ানবাগ এলাকার সার্ভেয়ার জাকির হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া আবুল হোসেন (৭০) মারা যান। বৃদ্ধের মরদেহ দাফনের জন্য নাসিক ২৭ নং ওয়ার্ডে মুরাদপুর-দেওয়ানবাগ এলাকার যৌথ কবরস্থানে নিয়ে আসলে কবরস্থান কমিটির সদস্য মোতালেব হাজী লাশ দাফনের জন্য ২ হাজার টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের দরকাষাকাষির এক পর্যায়ে দেড় হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাশ দাফন করতে দেয়া হয়। এ ঘটনা নিয়ে উল্লেখিত এলাকায় বেশ চা ল্যের সৃষ্টি করে।
এ ব্যপারে সার্ভেয়ার জাকির হোসেন বলেন, আমার বাড়ির ভাড়াটিয়া বৃদ্ধ আবুল হোসেন বার্ধক্য জনিত কারনে মারা যান। মুরাদপুর কবরস্থানে লাশ দাফন করতে গেলে কবরস্থান কমিটি সদস্য ২ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে অনেক কাকতি মনিতি পর দেড় হাজার টাকা দিয়ে লাশ দাফন করি। মৃত ব্যক্তি এতই দরিদ্র তার দাফন কাফনের জন্য মানুষের কাছ থেকে হাত পেতে টাকা নিতে হয়েছে। আর সেই টাকা থেকে কবরস্থান কমিটি উল্লেখিত সদস্যকে টাকা দিতে হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে কবরস্থান কমিটির সভাপতি ফোন করে টাকা ফেরত নেয়ার জন্য বলেছেন। আমি এখনো যাইনি। এ ব্যপারে দেওয়ানবাগ এলাকার মেম্বার ও আওয়ামীলীগ নেতা নাজিম উদ্দিন বলেন, কবরস্থানের উন্নয়নের নামে ভাড়াটিয়ার লাশ দাফনের জন্য ২ হাজার টাকা দাবি করেছে।
আমরা কথা বলে দেড় হাজার টাকা দিয়ে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেছি। এ ব্যপারে করবস্থান কমিটির সভাপতি শেখ আলমগীর বলেন, লাশ দফনের জন্য কোন টাকা লাগে না। আমরা এ ধরনের কোন নিয়ম করিনি। করব দেয়ার সময় টাকা দাবি ফেরাউনের কাজ। যিনি টাকা নিয়েছেন সে ভুল করেছে। আমি টাকা ফেরত দিতে বলে দিয়েছি। এ ব্যপারে টাকা গ্রহনকারি হাজী মোবালেব বলেন, আমরা নিজেরা একটা নিয়ম করেছিলাম লাশ দাফনের জন্য ভাড়াটিয়া হলে ২ হাজার আর স্থানীয় হলে ১ হাজার টাকা কবরস্থান উন্নয়নের জন্য দিতে হবে। তবে বিষয়টি সঠিক নয় এ কাজটা আমার ভুল হয়েছে টাকা ফেরত দেয়ার জন্য সভাপতিকে বলেছি। এমন ভুল আর হবে না। #