বাড়ছে চোখ ওঠা রোগী, আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতার পরামর্শ
দেশে চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। এ রোগকে বলে কনজাংটিভাইটিস। চোখের কনজাংটিভা নামক পর্দার প্রদাহই চোখ ওঠা রোগ। এ রোগটি মূলত ভাইরাসজনিত এবং ছোঁয়াচে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চোখের এই রোগ মূলত ভাইরাসজনিত একটি সমস্যা। রোগটি হলে কারও কারও কোনো চিকিৎসা ছাড়াই ভালো হয়ে যায়। সাধারণ চোখ ওঠা এক থেকে তিন সপ্তাহে সেরে যায়। আবার কারও চিকিৎসা প্রয়োজন হয়। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির দুই চোখ অথবা এক চোখ লাল বা গোলাপী হয়ে যায়। চোখে পুঁজের মতো জমা হয়, চোখ থেকে পানি ঝরে, চোখ জ্বালাপোড়া করে।ডা. বুলবুল আহমেদ বলেন, চোখ ওঠা একটি সংক্রামক রোগ। এই রোগ নিয়ে অনেকের মনে এমন একটি ধারণা রয়েছে যে, চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির চোখের দিকে তাকালে সুস্থ ব্যক্তিরও চোখ ওঠে, বিষয়টি ঠিক নয়। জীবাণু আলোকরশ্মির সাহায্যে এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। কনজাংটিভাইটিস সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়। মানে, এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি তার চোখ স্পর্শ করার পর সেই হাত দিয়ে কোনো একটি জিনিস স্পর্শ করলে এবং পরবর্তীতে সে জিনিসটি যদি অন্য কেউ স্পর্শ করে ও নিজের চোখে হাত দেয়, তাহলে সুস্থ ব্যক্তিটিও এই রোগে আক্রান্ত হয়।
ডা. বুলবুল আরও বলেন, চোখ ওঠা ছোঁয়াচে রোগ। এই রোগের ভাইরাস হাঁচি বা কাশির মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। রোগীর ব্যবহার্য রুমাল, তোয়ালে, বালিশ, টিস্যু অন্যরা ব্যবহার করলে তারা আক্রান্ত হতে পারে। তবে, চোখ ওঠা ব্যক্তির চোখের দিকে তাকালে সুস্থ ব্যক্তির চোখ ওঠে বলে প্রচলিত যে ধারণা রয়েছে, তা একদমই ঠিক নয়।
সম্প্রতি হেলথ লাইনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই রোগে চোখ দিয়ে পানি পড়ে ও চোখে অস্বস্তি বোধ হয়। চোখ স্পর্শ বা মোছার পরে হাত ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। হাত না ধুয়ে কোনো কিছু স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনোমতেই চোখ চুলকানো যাবে না। এই রোগের সময় বাইরে না যাওয়াই ভালো। বাইরে গেলে চোখে কালো চশমা পরে নিলে রোগী আরাম বোধ করবেন। বেশি অস্বস্তিবোধ করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।