বন্দরে নারী পোশাক শ্রমিককে গনধর্ষণের অভিযোগে মামলা, প্রধান আসামী গ্রেফতার
বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে পোশাক শ্রমিক এক নারীকে গনধর্ষণের ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে । গত সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাতে ভূক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে প্রেমিক জাহিদসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামা আরো ৫ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং ৩৩(১০)২০২২ইং। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত প্রেমিক জাহিদুল ইসলাম জাহিদকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছে। পুলিশ জানিয়ে গনধর্ষন মামলার অন্যান্য অসামীদের গ্রেপ্তারের চেস্টা চালাচ্ছে পুলিশ।গ্রেপ্তারকৃত প্রেমিক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বন্দর কলাবাগ এলাকার দ্বীন ইসলাম মিয়ার ছেলে। এছাড়াও পলাতক অন্যান্য অভিযুক্তরা হচ্ছে কলাবাগ ঝাউতলা এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে ইসমাঈল হোসেন ইমন(২২),বালুচড় এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে নাহিম(২১),একই এলাকার সাকিব(২১)সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫ জন। গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষক প্রেমিক জাহিদুল ইসলাম জাহিদকে সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। মামলার এজাহার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ১ বছর পূর্বে বন্দর ইউনিয়ন কলাবাগ এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থেকে শহরের একটি হোসিয়ারী প্রতিষ্ঠানে চাকরী করে আসছে ভ’ক্তভোগী নারী। গত ৩ মাস পূর্বে পারিবারিক কলহের কারনে ভূক্তভোগী নারী সাথে তার স্বামীর ডিভোর্স হয়। একই হোসিয়ারীতে চাকুরী করার সুবাদে একই এলাকার জাহিদুল ইসলামের সাথে সখ্যতা তৈরী হয়। উভয়ে প্রায় সময়ই এক সাথে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যেত। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টায় কাজ শেষে বন্দর খেয়াঘাট পার হলে জাহিদুল ইসলাম আমাকে প্রায় সময়ের ন্যায় ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে মোটর সাইকেল যোগে বন্দর ইউনিয়নস্থ বালুচর এলাকাস্থ সৈয়দ রফিকুল মিয়ার বাড়িতে নিয়া যায়। সেখানে কলাবাগ ঝাউতলা এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে ইসমাঈল হোসেন ইমন,বালুচর এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে নাহিম,একই এলাকার সাকিবসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫ জন লোক আছে। জাহিদুলসহ সবাই মিলে আমাকে চড় থাপ্পর মারিয়া আমার কাছে থাকা ১৫’শ টাকা ও মোবাইল কেড়ে নেয়। পরে সেখানে জাহিদ আমাকে জোর পূর্বক ইচ্ছার বিরোদ্ধে ধর্ষন করে এবং পালাক্রমে জাহিদের সহযোগী বাকি ৮ জন মিলে ভয় দেখিয়ে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এবং কাউকে কিছু বললে প্রানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। #
বন্দর প্রতিনিধি
শিপু/রা, ০২/১৯ এ/এম