আমরা চাইলে সবকিছু পারি এটা সত্য নয়, আমাদেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে – এএসপি সোহান
বন্দর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো: সোহান সরকার বলেছেন, আমরা আপনাদের বন্ধু হতে চাই। আমরা জনতার পুলিশ। আমরাও আপনাদের মত সাধারণ মানুষ, আমারও পরিবার আছে। আবার আপনাদের পরিবারের অনেকে পুলিশ আছে। আমরা সবাই মিলে পুলিশ পরিবার। আপনারা আপনাদের সমস্যার কথা বলেছেন। এখানে ইভটিজিং, কিশোর গ্যাং ও মাদকের সমস্যা রয়েছে। আপনারা খুব শিঘ্রই এদের তালিকা করবেন। এটা আপডেটেড হতে হবে। দায়সারা তালিকা যেন না হয়, আপডেট তালিকা করতে হবে।
রোববার (২৪ মার্চ) বন্দর থানার উদ্যোগে আয়োজিত উঠান বৈঠক ও বিট পুলিশিং সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, প্রকাশ্যে অনেকে হয়ত বলতে চান না। ডিউটি অফিসারদের নাম্বার আছে। আপনারা প্রয়োজনে মেবাইলে এসএমএস দিয়ে অপরাধীদের কথা জানাবেন৷ আপনাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। বর্তমানে যারা সক্রিয় তাদের নাম আমরা জানতে চাই। প্রথমে আমাদের তথ্য দরকার। তারপর আমরা এ্যাকশনে যাবো।
আমরা চাইলে সবকিছু পারি এটা সত্য নয়। আমাদেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমাদের জনবলের ঘাটতি আছে। আমাদের পেট্রোলিং করতে হয় আবার তদন্তও করতে হয়। আপনারা আমাদের স্পটগুলো জানাবেন। কোন কোন স্পটে ওরা এসকল কাজগুলো করে।ইভটিজাররা কিন্তু অন্য জায়গা থেকে আসেনা। তারাও আপনাদের এলাকার সন্তান। আমরা সবাই সচেতন হলে সামাজিক বন্ডিং তৈরি করতে পারলে এগুলো থাকবে না। আগে ইভটিজিং ছিল না। কারণ সবাই সবাইকে চিনত। আমরা মুরুব্বিদের ভয় পেতাম। আমরা যা ইচ্ছে তা করতাম না।
সামাজিক সুরক্ষাও প্রয়োজন। ১৬ বছরের একটা ছেলেকে মামলা দেয়ার কথা আসলে তার ভবিষ্যত নিয়েও ভাবতে হয়। তাই সামাজিক ও আইনগত দুভাবে এগুলে আমরা অবশ্যই এটা করতে পারবো।তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের সাথে আলাপ করে চেষ্টা করবো। দিনের বেলা সিমেন্টের গাড়িগুলো যেন না চলে। নারায়ণগঞ্জের আরেকটা সমস্যা হল এখানে অনেক অটোরিকশা চালক খুন হয়। আপনারা সচেতন হয়ে চলবেন। রাতের বেলা যাত্রীদের কেউ দূরে যেতে চাইলে মোবাইলে কল দিয়ে পাঁচ সেকেন্ড রেখে কেটে দিন। তাহলে এটা ট্রেস করা যাবে। তাহলে সে যত খারাপই হোক এগুলো করতে সাহস পাবে না।বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে প বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর আবুল কাউসার আশা।#