সোনারগাঁয়ে ১৫দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা উদ্বোধন, নানা আয়োজনে বর্ষবরণ
সোনারগাঁ প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের ঐতিহাসিক সোনারগাঁয়ে শুরু হয়েছে ১৫ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন এ মেলার আয়োজন করেছে। আবহমান বাংলার লোক সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে হবে বলে জানিয়েছেন ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ। গতকাল পহেলা বৈশাখ দুপুরে পক্ষকালব্যাপী এ বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজহার খান,
ফাউন্ডশনের পরিচালক ড. আমিনুর রহমান সুলতানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব খলিল আহমদ।অন্যাণদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূইয়া ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ।এ মেলায় ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্পের বৈচিত্রময় কারুপন্যের সমাহার রাখা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কারুশিল্পীদেরকে এখানে স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কারুশিল্পীরা তাদের কারুপন্য প্রদর্শন ও বিক্রির সুযোগ পেয়েছেন এ মেলায়। এছাড়া সোনার তরী লোকজ মে ‘পহেলা বৈশাখ সকলের উৎসব’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রবন্ধ পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভাইস চ্যান্সলর অধ্যাপক ড, মুহম্মদ সামাদ।সকালে ফাউন্ডেশন চত্বরে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে পহেলা বৈশাখের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে গ্রামবাংলা ও বৈশাখী উৎসব শীর্ষক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বাউল গান ও লোকজ খেলার মাঠে হা-ডু-ডু খেলা প্রদর্শন করা হয়।
এছাড়া মেলায় লোক ও কারুশিল্প চর্চা চত্বর উদ্বোধন করা হয়। এ চর্চা কেন্দ্রে দক্ষ কারুশিল্পীরা স্কুল কলেজে পড়–য়া শিক্ষার্থীদের কারুশিল্প প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। কারুশিল্প চর্চা চত্বরের উন্মুখে ঐতিহ্যবাহী পালকি প্রদর্শনীর ব্যবন্খা বরা হয়েছে। যাতে তরুন তরুনীরা পালকি সম্পর্কে ধারনা লাভ করতে পারে।
১৫দিনব্যাপী এ বৈশাখী মেলায় দেশের হারিয়ে যাওয়া লোকজ খেলাধূলা, লোকজীবন প্রদর্শনী ও পালকির গান, কিচ্ছা গান, ভাটিয়ালী গান, জারি, সারি গান, লালন ও হাসান রাজার গান পরিবেশিত হবে।
মেলার বিশেষ আকর্ষণ ছিল হালখাতার আয়োজন। এ হালখাতায় ফাউন্ডেশনের কারুপল্লীর কারুশিল্পীরা তাদের বকেয়া স্টল ভাড়া পরিশোধ করেন। পরে সবাইকে মিষ্টি মুখ করানো হয়।
এদিকে সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলার ভট্টপুর বটমুলে লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর আগে এক বর্নাঢ্য মঙ্গৈ শোভাযাত্রা বের করা হয়।
এছাড়া ঐতিহ্যবাহী বৌ মেলা, মঙ্গলের গাছকলার মেলা, চিনতলার মেলাসহ বিভিন্ন স্কুল কলেজ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বর্ষবরন উৎসব পালন করে। #