শিরোনাম
ফতুল্লায় শুয়োরের খামারের র্দুগন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসি
নারায়নগঞ্জের খবর ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা রেললাইন বটতলা এলাকায় দুলাল ডোমের শুয়োরের খামার থেকে আসা র্দুগন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সেখানে বসবাসকারী সাধারন মানুষ। স্থানীয়দের দাবী দুলাল এর এ খামারটি দ্রুত অপসারন করা হোক।
স্থানীয়দের পাঠানো ভিডিও ও তথ্য দেখা যায় যে, ডোম দুলাল নিজে শুয়োরের মাংস খাবে এ অযুহাতে সেখানেই প্রায় ৫০-৬০টি বিভিন্ন আকৃতির শুয়োর নিয়ে একটি খামার গড়ে তুলেন। যার একেকটির মুল্য ২০ হাজার থেকে প্রায় ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ফতুল্লা রেললাইন বটতলা এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত ডোম সম্প্রদায়ের একাধিক পরিবার সেখানে পরিজন নিয়ে বসবাস করছে। তবে স্থানীয়দের মতে, ডোম দুলাল সবাইকে বোকা বানিয়ে নিজেই ব্যবসার উদ্দ্যোশে বিশাল এ জনগোষ্ঠির বসবাসের মাঝেই গড়ে তুলেছেন এ শুয়োরের খামারটি।
কারন হিসেবে তারা বলেন,শুধুমাত্র খাওয়ার জন্য এতগুলো শুয়োর এখানে রাখার কথা নয়। একমাত্র ব্যবসার জন্যই ডোম দুলাল এখানে খামারটি প্রতিষ্ঠিত করে তোলেন। ডোম দুলালের খামারের পাশেই রয়েছেন একটি মসজিদ ও কবরস্থান। বিভিন্ন শিল্প-কারখানা গড়ে উঠার ফলে উক্ত এলাকাটিতে দেশের বিভিন্ন জেলা হতে কর্মজীবি মানুষগুলো তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করায় এলাকাটি বেশ জাকজমক হয়ে উঠেছে। মসজিদে মুসুল্লীরা নামাজ পড়তে গিয়েই শুয়োরের গা থেকে বের হওয়া র্দুগন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন মুসুল্লীরা। এছাড়াও সেখানে বসবাসকারী সাধারন মানুষগুলো এ র্দুগন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। কারোর কোন কথাই কর্নপাত করছেনা ডোম দুলাল। একটি আবাসিক এলাকায় কিভাবে শুয়োরের খামার গড়ে তুলে ডোম দুলাল তা কারোর বোধগম্য হচ্ছেনা।
অত্র প্রতিবেদকের কাছে পাঠানো একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় যে, বিভিন্ন আকৃতির একাধিক শুয়োর দিয়ে ডোম দুলাল এ খামারটি গড়ে তোলেন। সম্পূর্ন ব্যবসায়ীক উদ্দ্যোশে গড়ে উঠানো শুয়োরের এ খামারটিতে ২০ কেজির সাইজ থেকে শুরু করে প্রায় তিন মন ওজনের শুয়োরও রয়েছে উক্ত খামারে। স্থানীয়রা জানান,এক সময়ে নারায়ণগঞ্জের টানবাজার এলাকাতে এগুলো বিচরন দেখা গেলেও এখন এগুলো নারায়ণগঞ্জ থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছিলো বেশ কয়েক বছর আগে।
কিন্তু রেললাইন বটতলা এলাকাতে ডোম সম্প্রদায়ের প্রায় ৩০/৩৫টি পরিবার বসবাস করছেন কয়েক বছর যাবত। তারা বেশ ভালোভাবে বসবাস করলেও বর্তমানে হুট করেই ডোম দুলাল নিজেরা খায় এমন অযুহাতেই প্রায় অর্ধশতাধিক শুয়োর এনে খামার গড়ে তোলে। তারা আরও জানান,শুয়োরের খামারের পাশাপাশি টানবাজার থেকে চোলাই মদ এনেও সেটা বিক্রি করছে ডোম দুলাল। সেখানে বসবাসকারী নাম প্রকাশে নিচ্ছুক অনেক ডোম ও স্থানীয়রা জানান,শুয়োরের খামার দিয়ে এবং মদ ও জুয়ার আসর বসিয়ে ডোম দুলাল সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় এবং কাচঁপুর এলাকার একাধিক জমি ক্রয় করেছেন। সে তার ছেলে-ভাই ও সহযোগিদের নামে এসকল জমি কিনেছেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে খামারের মালিক ডোম দুলালের সাথে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমি বিক্রির জন্য না খাওয়ার জন্য। আমার প্রতি সপ্তাহে ১৩০ থেকে ১৩৫ কেজি মাংসের প্রয়োজন হয়। টানবাজার থেকে চোলাই মদ এনে বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন,এটা মিথ্যা। প্রমান করতে পারলেই আইনে যেটা রয়েছে সেটা মাথা পেতে নেবো।
স্থানীয়দের দাবী, বিশাল জনগোষ্ঠির এ বসতিপুর্ন এলাকায় গড়ে তোলা ডোম দুলালের শুয়োরের খামারটি বন্ধ করতে ফতুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন সেখানে বসবাসকারীরা। #