আড়াইহাজারে ৯ মাসের অন্তসত্ত্বা গৃহবধু হত্যার অভিযোগ
আড়াইহাজার প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পৃথক ঘটনায় দুই নারী পূরুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। একটি ঘটনায় স্ত্রীর সাথে অভিমান করে স্বামী আত্মহত্যা তথ্য পাওয়া গেছে। অপর ঘটনায় নয় মাসের অন্তসত্ত্বা স্ত্রীকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারের চেষ্টা চালায়। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছে। বৃহষ্পতিবার রাতে পৃথক দুটি ঘটনা ঘটেছে উপজেলার গোপালদী পৌরসভার দাইরাদী ও ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বৈলারকান্দি এলাকায়। এ ঘটনায় গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। অপর ঘটনায় পুলিশকে না জানিয়ে ময়নাতদন্ত না করে গোপনে স্বামীর মরদেহ দাফন করেছে স্বজনেরা।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, শক্রবার সকালে উপজেলার দাইরাদী গ্রামের সালাউদ্দিনের স্ত্রী হালিমা (২৯) নামে নয় মাসের অন্তসত্ত্বা এক গৃহবধূর লাশ তার বাসার সৌচাগার থেকে উদ্ধার করেছে গোপালদী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে হালিমা সৌচাগারে টিনের চালার আটনের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবী করা হলেও তা ঝুলন্ত অবস্থায় পায়নি পুলিশ। এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে যে, হালিমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার পায়তারা করা হচ্ছে।আড়াইহাজার থানার ওসি আজিজুল হক হাওলাদার জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিৎ হওয়া যাবে। আপাতত একটি ইউডি মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী সালাউদ্দিন পলাতক রয়েছেন বলে একাধিক সূত্র জানায়।অপর দিকে ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বৈলারকান্দী গ্রামের মৃত মালেকেরে ছেলে মামুন (৩৫) বুধবার সকালে স্ত্রীর সাথে অভিমান করে বিষ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসায় স্স্থু হয়ে বাড়ীতে ফিরে আসেন। কিন্তু বৃহষ্পতিবার রাতে আবার তিনি বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে বাড়ীতেই মৃত্যু বরণ করেন। তার লাশ পুলিশকে না জানিয়ে তরিঘরি করে দাফন করে ফেলেছেন স্বজনেরা।এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার ওসি আজিজুল হক হাওলাদার বলেন, বিষয়টি পুলিশের অবগত নাই। #