ফতুল্লায় পানিবন্দি মানুষ দেখার কেউ নেই! দুর্ভোগে পানিবন্দি হাজার মানুষ
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা-ঘাট তলিয়ে পানি ঢুকে পড়েছে অনেকের বাসা-বাড়ি-রান্নাঘরে। জলাবদ্ধতার পানির সঙ্গে মলমূত্র ও শিল্প-কারখানার কেমিক্যালযুক্ত বিষাক্ত পানি মিশে একাকার। মলমূত্র ও দুর্গন্ধযুক্ত এ গরম পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে পানিবন্দি হাজার হাজার মানুষ।সরেজমিনে দেখা যায়, ফতুল্লার অধিকাংশ এলাকার রাস্তাঘাট ডুবে গেছে ডাইং কলখারখানার গরম পানিতে। বৃষ্টি নেই তবুও পানিতে ডুবে একাকার ফতুল্লার অধিকাংশ এলাকা। বৃষ্টি হলে হয়তো শেষ রক্ষাও হবে না। ফতুল্লার পাইলট স্কুল, লালপুর, পৌষার পুকুরপাড় ও টাগারপাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকায় গত মাসখানেক যাবত ব্যাপক আকারে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এমনিতেই নোংরা পানি তার উপর আবার গরম। ফলে সৃষ্টি হয়েছে কৃত্রিম বন্যা।ফতুল্লার পাইলট স্কুল এলাকার বাসিন্দা রফিকুর রহমান (৩৫) বলেন, এই রাস্তার ড্রেনেজ ব্যবস্থা এতটাই খারাপ যে অল্প পানিও সরতে কয়েকদিন লেগে যায়। আর বৃষ্টি হলেতো সাথে সাথে পুরো রাস্তা খালে পরিণত হয়। জানিনা হঠাৎ করে কেন এত পানি বাড়ছে! আর পানিতে মলমূত্র ভাসছে ও প্রচন্ড গরম হওয়ার ফলে পানিতে পা রাখা যাচ্ছে না। এই পানি সরে যাবার কোন রাস্তা নেই। কে জানে কদিন এই ভোগান্তি পোহাতে হয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফতুল্লার পাইলট স্কুলের এক ব্যবসায়ী বলেন, অল্প বৃষ্টি হলেই পানি মানুষের ঘরে ঢোকা শুরু করে। রিক্সা নিয়েও রাস্তায় চলাচল করা দায়। বৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথে হাঁটু পর্যন্ত পানি হয়। দীর্ঘদিন যাবত রাস্তাঘাটে পানি জমাট বেঁধেছে। আর এই নোংরা পানির মধ্যেই হাঁটতে হয় এই এলাকার মানুষদের। কয়দিন এই যন্ত্রনা ভোগ করতে হবে কে জানে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। #