শিরোনাম
আ’লীগ নেতার মুক্তির দাবীতে থানা ঘেরাও


নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল প্রধানের মুক্তির দাবী এলাকায় হাজারো নারী পুরুষ থানায় জড়ো হয়। এসময় জুয়েলের মুক্তির দাবীতে স্লোগান দেয়।

রোববারা সকাল ১০ টার দিকে এই এলাকার সচেতন নাগরিক ব্যনারে স্থানীয়রা থানা ঘেরাও কর্মসূচী পালন করে।
পুরিন্দা গ্রামে বাসিন্দা শায়েস্তা বেগম বলেন, ‘জুয়েল এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করেন। সুখে দুখে কাছে পাওয়া যায়। পরিবারের সন্তান হিসেবে আমরা পুরিন্দাবাসী তাকে অনেক স্নেহ করে থাকি। এমন ভালো মানুষকে পুলিশ কেন আটকে রাখলো তা জানতে চাই।’
একই গ্রামের আব্দুর রহমান, সাইজুদ্দি, জোহরা বেগম জানান, এলাকার চোরডাকাত বদমাইশরা দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ এসকল অপরাধীদের ধরছেনা। জুয়েলের মত এক সমাজ সেবক ও ভালো মানুষকে ধরে আনলো। তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে পুলিশও সমান অপরাধী। তারা জুয়েলকে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতি দিয়ে মুক্তির দাবী করে।
পরে শত শত নারী পুরুষ উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
পুলিশ জানায়, ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পাশে পুরিন্দা বার আউলিয়া দুধের বন্ধ একটি কারখানা রয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এ কারখানার মেশিনপত্রসহ মূল্যবান আসবাবপত্র লুট করে নেয়ার জন্য স্থানীয় একটি চক্র গড়ে উঠে। চক্রটি কয়েকবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।

আর এ কাজে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান সাতগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল প্রধানের। শনিবার দুপুরে এনিয়ে জুয়েল প্রধানের সাথে স্থানীয় চক্রটির বাগবিতন্ডা ঘটে। পরে ৪০/৫০ জন একত্রিত হয়ে জুয়েলকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে পিটুনী দেয়। পরে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের পরামর্শে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জুয়েলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, জুয়েলের বিরুদ্ধে পাঁচরুখী এলাকায় হামলা, ভাংচুর ও নাশকতার মামলা রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রোববার তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।#
