জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান


নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেছেন, আমরা এমন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই যেখানে সকলের অধিকার নিশ্চিত হবে। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের সেই রাষ্ট্র গঠনে তরুণরা এগিয়ে আসবে।
আমরা আপনাদের সকলকে নিয়ে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে চাই। আমরা আপনাদের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করতে চাই।গণঅভ্যুত্থানে আহত ও জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে সদস্যদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক ও সঞ্চয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের তরুণদের হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ থাকবে। আমাদের তরুণ বীর যোদ্ধাদের প্রাপ্য সম্মান আমরা দেয়ার চেষ্টা করছি। আগামী দিনে তারা এ সম্মান ধরে রাখবে এবং দেশ গঠনের কাজে নিয়োজিত থাকবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। আমাদের অসহায় লাগে। একটি দেশের মানুষ নিজের দেশের মানুষকে কীভাবে আহত করে। কোন পর্যায়ের রুচি হলে এটা করা যায়, আমি জানি না। আমরা মানবিক রাষ্ট্র চাই। যেখানে একজনের সমস্যায় দশজন এগিয়ে আসবে। আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে নারায়ণগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহত শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক সঞ্চয়পত্র বিতরণ করা হয়েছে ।
গণঅভ্যুত্থানে আহত ‘সি’ ক্যাটাগরির যোদ্ধাদের আর্থিক অনুদানের চেক এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় প্রদত্ত আর্থিক অনুদানের চেক ও সঞ্চয়পত্র বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে ৪ জন শহিদ পরিবারের সদস্যের প্রত্যেককে ১০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের সঞ্চয়পত্র প্রদান করা হয়। পাশাপাশি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ‘সি’ ক্যাটাগরির ২১২ জন যোদ্ধাকে এককালীন ১ লক্ষ টাকা করে অনুদানের চেক সর্বমোট দুই কোটি বায়ান্ন লাখ টাকা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাথাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুব খান টিপু, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর এর সভাপতি মুফতি মাছুম বিল্লাহ, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুশিউর রহমান সহ জেলা প্রশাসেনর অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। #