বন্দরে গ্যাস সংকটে মাটির চুলায় রান্না করেও গ্যাস বিল দিয়ে দিশেহারা গ্রাহকরা
মো: সহিদুল ইসলাম শিপু-বন্দর প্রতিবেদকঃ বন্দর উপজেলায় গ্যাস সংকটে বেরেছে মাটির চুলার চাহিদা। গ্রাহকদের অভিযোগ এ অঞ্চলে দিন দিন গ্যাস সংকট প্রকট আকার ধারন করছে। অনেকটা বাধ্য হয়ে আবাসিক গ্রাহকরা মাটির চুলা ব্যবহার করছে। কবে নাগাদ এ গ্যাস সংকট নিরসন হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। আবাসিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠান সহ সব শ্রেণীর গ্রাহকরা গ্যাস ও বিদ্যুৎ সমস্যায় ভুগছেন। গ্যাসের চাপ কম থাকায় গ্যাস পাইপে যে পরিমান গ্যাস আসছে তা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ মিটছে না। দিনে গ্যাসের চাপ কম রাতেও টিমটিম করে জ্বলে। পাইপ লাইনের গ্যাস গ্রাহকদের পাশাপাশি যারা সিলিন্ডার ব্যবহার করেন তাদেরও ভোগান্তি বেড়েছে। সরকারের নির্দিষ্ট করা দামে কোন স্থান থেকেই সিলিন্ডার গ্যাস বা এলপি গ্যাস ক্রয় করতে পারছেনা বলে একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করেছেন। দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে এলপি গ্যাস। সিলিন্ডার গ্যাসের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোন উদ্যোগ নেই। নেই কোন তদারকি। ব্যবসায়ীরা যেখানে যেমন ইচ্ছে দাম নিচ্ছেন যখন তখন দাম বাড়াচ্ছেন। বন্দর বাবুপাড়া এলাকার আফরুজা আক্তার মুক্তা জানিছেন, দিনের বেলা একেবারেই গ্যাস থাকে না। রাতে নিভু নিভু করে যা থাকে তাতে কোন কাজই করা যায় না রান্না খাওয়ার খুব কষ্ঠ হয় তাই উপায় না পেয়ে মাটির চুলায় রান্না করতে হয়। মাটির চুলায় রান্না করেও মাসে মাসে গ্যাস বিল দিতে হয়। তাই সরকারে কাছে দাবি জানাই হয় ঠিক মত গ্যাস দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক না হয় লাইন কেটে বিল নেওয়া বন্ধ করা হোক। মাটির চুলা বিক্রেতা বলেন, আগের তুলনায় এখন বেশি মাটির চুলা বিক্রি হচ্ছে কারন গ্যাস নাই। মানুষের রান্নার করার জন্য এখন মাটির চুলাই বেছে নিয়েছে। #