শিরোনাম
অবৈধ গ্যাস সংযোগে লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ! সিন্ডেকেট ঠেকাতে জিরো টলারেন্স
নিজাম উদ্দিন আহমেদ-রূপগঞ্জ প্রতিবেদকঃ রূপগঞ্জ উপজেলাজুড়ে অবৈধ গ্যাসের ছড়াছড়ি। অবৈধ সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠছে নামধারী নেতাদের বিরুদ্ধে। আর এর সাথে জড়িত রয়েছে তিতাস গ্যাসের কথিত ঠিকাদার ও দালাল চক্র। একেতো রূপগঞ্জে শিল্প কারখানাগুলো গ্যাস সংকটে বন্ধের পথে, অন্যদিকে অবৈধ গ্যাস সংযোগের ছড়াছড়ি। জানা যায় বার বার তিতাস অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেও রাতের আধারে সংযোগ করে নিচ্ছে একটি চক্র। এ ভাবেই কথিত কিছু নামধারি নেতারা রাতারাতি অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন। সচেতন মহল বলেন এই চক্রটি দেশের মূল্যবান জাতীয় খনিজ সম্পদ প্রাকৃতিক গ্যাস লুট করে প্রতি মাসে সরকারকে বিপুল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করছে। গত ২০১০ সালের ১৩ জুলাই থেকে আবাসিক গ্যাস সংযোগ বন্ধ করা হলেও তিতাস গ্যাস কোম্পানির কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে সরকার দলীয় নামধারী নেতাদের মাধ্যমে মোটা অংকের নগদ নারায়ণের বিনিময়ে অবৈধ সংযোগ দিয়ে যাচ্ছেন বলে এলাকাবাসির অভিযোগ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে রাতের আঁধারেই এসব অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়া হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন দেশের মূল্যবান খনিজ সম্পদের অপচয় হচ্ছে, তেমনি সরকারও প্রতিমাসে বিপুল পরিমাণের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিতাস গ্যাস কতৃপক্ষ মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেও তা আবার গোপনে পুনঃসংযোগ দেওয়া হয়। নিম্নমানের পাইপ দিয়ে এসকল অবৈধ সংযোগ নেয়ায় অধিকাংশ রাইজারের গোড়া দিয়ে ফিস ফিস শব্দে গ্যাস নির্গত হতেও দেখা যাচ্ছে। এতে অনেক এলাকায় গ্যাস লিকেজ হয়েও অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটছে অহরহ।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁও আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের প্রকৌশলী সুরুজ আলম ও মেসবাহ উর রহমান বলেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগের ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছি। কোনো ছাড় নয়। এলাকায় একটিও অবৈধ গ্যাস সংযোগ থাকবে না। #