শিরোনাম
মেঘনায় বালু উত্তোলন | ভাঙ্গনের শংকায় আনন্দবাজার, মায়াদ্বীপ সহ কয়েকটি গ্রাম
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
অপরিকল্পিতভাবে এ বালু উত্তোলনের ফলে ঐতিহ্যবাহী ২০০ বছরের পুরনো আনন্দবাজার হাট ও নুনেরটেক সহ কয়েকটি এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের আনন্দবাজার হাট এলাকায় অবৈধভাবে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে সরকারি জায়গা দখল করে এবং কিছু ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমিতে বাশেঁর খুটি ও বেড়া দিয়ে মোটা পাইপের মাধ্যমে বালু ফেলার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে শ্রমিকরা ৯টি গাছ কেটে সারিবদ্ধ করে রেখেছে।
স্থানীয়রা জানান, এই হাটের পাশে মেঘনা নদী থেকে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করলে বাজারের মাঠ ও নুনেরটেক এলাকা,নদীর তীরে গড়ে উঠা কয়েকটি শিল্প কারখানা এবং মানুষ পাড়াপারের জন্য নির্মিত জেটি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। এই আনন্দবাজার হাটের মাঠে একটি গরুর হাট বসে যেখানে সরকারের প্রতি বছর ৭০/৮০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়। বালু উত্তোলনের ফলে হাটের নদী তীরের অংশ বিলীন হলে কর্মহীন হবে হাটে কাজ করা শ্রমিকরা। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে ঐতিহ্যবাহী আনন্দবাজার হাট রক্ষার দাবী করেন এলাকাবাসী।
তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ইব্রাহিম মুঠোফোনে জানান,মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলনের বিষয়টি তদন্ত করার জন্য আমি তাৎক্ষণিক লোক পাঠিয়েছি। সরকারী স্বার্থ রক্ষায় আমরা কাজ করে যাবো।
নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়ে স্থানীয় বৈদ্যের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন সরকার বলেন,হাটের পরিধি বৃদ্ধির জন্য বালু ভরাট করা হবে। এখানে কোন অনিয়ম করতে দেয়া হবে না।