প্রথম ডোজ নেওয়ার সময় বাড়লো
দেশে চলমান বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইন আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে অনলাইন ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর ডা শামসুল হক।তারা জানান, আগামী ৪, ৬ ও ৮ অক্টোবর এই ক্যাম্পেইন চলবে। চাহিদার কারণে এই সময় বাড়ানো হয়েছে। এরপর আর প্রথম ডোজ দেওয়া হবে না।ডা. শামসুল হক জানান, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য আর কোনও ক্যাম্পেইন হবে না। তবে কেউ যদি যৌক্তিক কারণে নিতে না পারেন তাহলে পরে নির্ধারিত ভ্যাকসিন সেন্টারের মাধ্যমে নিতে পারবেন।যৌক্তিক কারণ হিসেবে তিনি বলেন, হয়তো কেউ গত ছয় মাস অসুস্থ ছিলেন, বিছানা থেকে একদমই উঠতে পারছেন না। তারা নির্ধারিত সেন্টার থেকে নিতে পারবেন।তিনি বলেন, আগামী তিনদিন এই টিকা কার্যক্রম চলবে। ইতোমধ্যে যে পদ্ধতিতে টিকা নিয়েছেন সেই পদ্ধতিতে টিকা নেওয়া যাবে। গত তিন দিনে প্রথম ডোজ , দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার মিলে ৮১ লাখ মানুষ টিকা নিয়েছেন। এখনও বুস্টার ডোজ নিতে অনেকেই বাকি আছেন। আমাদের বলছেন যে তারা টিকা নিতে চান। আবার এখন সংক্রমণের হার ১৫ শতাংশ। সার্বিক দিক বিবেচনা করে ক্যাম্পেইনের মেয়াদ আরও তিন দিন বাড়ানো হচ্ছে।শামসুল হক বলেন, স্থানীয়ভাবে আমরা টিকা পৌঁছে দিয়েছি। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত টিকা আছে। আমরা সময় বাড়িয়েছি যাতে সবাই টিকা পায়। এই সুযোগ আশা করছি আমাদের জন্য অনেক ভালো সুফল বয়ে আনবে।ডা. আহমেদুল কবির বলেন, বেশির জনগোষ্ঠী টিকার আওতায় আসার ফলে কিন্তু আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যা কম। ব্যাপক হারে টিকা দেওয়ার এটি একটি বড় প্রভাব। তাই সার্বিকভাবে বিবেচনা করে আমরা এই সময় বাড়িয়ে দিচ্ছি।উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাস টিকাদান কর্মসূচির বিশেষ ক্যাম্পেইন। এই ক্যাম্পেইনের পর আর প্রথম ডোজ দেওয়া হবে না বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। বিশেষ এই টিকাদান কর্মসূচি আজ ৩ অক্টোবর শেষ হওয়ার কথা ছিল।ক্যাম্পেইন শুরুর আগে অধ্যাপক খুরশীদ আলম জানান, দেশে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ইতোমধ্যে অর্জিত হয়েছে। মোট জনগোষ্ঠীর ৯৭ শতাংশ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ, ৯০ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ এবং ৪১ শতাংশ তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। এই বিশেষ কর্মসূচি বিশেষ করেই তাদের জন্য, যারা এখনও টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া থেকে বাকি রয়েছেন। এবারের ক্যাম্পেইন শেষ হলে টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ আর দেওয়া হবে না। তবে বুস্টার ডোজ চলবে।টিকা না দেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, টিকার স্বল্পতা রয়েছে, সঙ্গে কিছু টিকার মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে। বর্তমানে ৩ কোটি টিকা হাতে রয়েছে।