শিরোনাম
জামাত বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদ ৮৭ স্পটে মিছিল শামীম ওসমানপন্থীদের
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ গণসমাবেশের নামে জামাত বিএনপি’র নৈরাজ্যের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ শহর, ফতুল্লা, বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জের ৮৭টি স্পটে একযোগে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানপন্থিরা। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা এসব মিছিলে অংশ নেন এবং তাৎক্ষণিক পথ সভা করেছেন। শনিবার বিকাল ৪টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকার ২৭ টি ওয়ার্ডে ৩১টি, ফতুল্লা থানার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৪২ টি, বন্দরের ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৪টি পৃথক স্পট থেকে একযোগে মিছিল নিয়ে বের হয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এর মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে আবারো নিজের শক্তিশালী নেতৃত্বের নজির রাখলেন আলোচিত সাংসদ শামীম ওসমান। মিছিল গুলোতে নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি ও শ্লোগানে প্রকম্পিত হয় পুরো নারায়ণগঞ্জ। বিক্ষোভ মিছিলে নেতাকর্মীরা বিএনপিকে স্বাধীনতা বিরুধী শক্তি আখ্যা দিয়ে সাবধান হওয়ার আহবান জানিয়েছেন। এসময় নেতাকমীরা ‘ধরি ধরি ধরি না, ধরলে কিন্তু ছাড়ি না স্বাধীনতা বিরোধী আপশক্তি, সাবধান হুঁশিয়ার’ সহ নানা শ্লোগান দিয়ে শহর-নগর মুখরিত করে তোলেন। মিছিল শেষে নেতাকর্মীরা শনিবার সন্ধ্যা থেকে নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নেন।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যলয় প্রাঙ্গনে সকাল থেকেই দলটির নেতাকর্মীরা সমবেত হতে থাকেন। দিনব্যাপী তারা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে শ্লোগান দিয়ে পার্টি অফিস মাতিয়ে রাখেন। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জেলার শীর্ষপদে থাকা নেতারা কার্যালয়ে আসেন। এসময় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আরো চাঙ্গা হয়ে ওঠে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম উদ্দিন বলেন, সভা-সমাবেশ করা শুধু আওয়ামী লীগ আর বিএনপি নয়, প্রত্যকটি দলের গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে এই বিজয়ের মাসে আন্দোলনের নামে পল্টনে কি হয়েছে সেটি দেশের মানুষ দেখেছে। আমরা সকাল থেকেই এমপি শামীম ওসমানের নির্দেশে রাজপথে আছি এবং বিকালে এক যোগে ৪টি থানা এলাকা থেকে অর্ধশতের বেশী স্পট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছি।
মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু বলেন, মহাসমাবেশ ঘিরে কোন ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে তা প্রতিহত করতে প্রস্তুত রয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। শামীম ওসমান এমপির নির্দেশে দিনব্যাপী নারায়নগঞ্জের বিভন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিজয়ের মাসে কোন ধরনের অরাজকতা হলে শুধু প্রতিহত করা হবে না, পাশাপাশি কঠিন জবাব দেয়া হবে। জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী বলেন, আমাদের নেত্রী তার বক্তব্যে বলেছেন তাদের (বিএনপির নেতাকর্মী) সাথে তাদের ভাষায় কথা বলতে। সুতরাং এখন আর কোন ছাড় দেয়া হবে না। আন্দোলনের নামে অরাজকতা সৃষ্টি, সরকারী সম্পদের ক্ষতি ও মানুষের জানমালের সাথে কোন ধরনের নৈরাজ্য করা হলে এর পাল্ট জবাব দেয়া হবে। আমাদের নেতা ও সাংসদ শামীম ওসমানের নির্দেশে আমরা মাঠে নেমেছি এবং থাকবো। #