শিরোনাম
সাবলেট বাড়িতে একা পেয়ে নারীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ | ৪৮ ঘন্টায় ধর্ষক হৃদয় গ্রেফতার
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ সিদ্ধিরগঞ্জে সাবলেট ভাড়া বাড়িতে একা পেয়ে নারীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। র্যাব ১১ ঢাকার শ্যামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে মামলার একমাত্র আসামী হৃদয় প্রধানকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়েছে। সে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার কৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত ওয়াহেদ প্রধানের ছেলে। ২৮ ডিসেম্বর বিকেলে র্যাব-১১,আদমজীনগরের সহকারী পরিচালক মিডিয়া অফিসার এএসপি মোঃ রিজওয়ান সাঈদ জিকু স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিএসসি, আদমজীনগরের একটি দল গত ২৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ডিএমপি, ঢাকার শ্যামপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ ধর্ষন মামলা হওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামী হৃদয় প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়।
আসামী হৃদয় প্রধান (৩০) এবং ভিকটিম (২৫) নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন পাইনাদি কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের পিছনে মমিন মিয়ার বাড়ির ২য় তলার ভাড়াটিয়া। ভিকটিম (২৫) এবং আসামী হৃদয় প্রধান (৩০) মমিন মিয়ার বাড়ির ২য় তলার ফ্ল্যাটে সাবলেট হিসেবে স্ব-পরিবারে বসবাস করত। গত ২১ ডিসেম্বর সকালে আসামীর স্ত্রী আদমজী ইপিজেডে চাকুরীর জন্য যায় এবং ভিকটিমের স্বামীও চাকুরীর জন্য মোহাম্মদপুর এলাকায় বেড়িয়ে যায়। এই সুযোগে আসামী হৃদয় প্রধান (৩০) ভিকটিমকে বাসায় একা পেয়ে ভিকটিমের ব্যবহৃত উড়না দিয়ে হাত-পা বেঁধে জোরপূর্বক ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। পরে গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিমকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি প্রদর্শণ করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৪৬ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০২২। ধর্ষণের ঘটনার পর হতে আসামী হৃদয় প্রধান কৌশলে আত্মগোপন করে। র্যাব-১১ এর একটি চৌকস গোয়েন্দা দল ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামী হৃদয় প্রধানকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য গোয়েন্দা অনুসন্ধান শুরু করে এবং গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী ধর্ষণের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছে। পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট আসামীক হস্তান্তর করা হয়েছে। #