ফতুল্লা থানার মূল ফটকে যুবলীগ নেতার উপর হামলা
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ ফতুল্লা মডেল থানার মুল ফটকে কিশোরগ্যাং লিডার একাধিক মামলার আসামী মো.শরীফ হোসেন শামীম @ এসএইচ শামীমগং কর্তৃক যুবলীগ নেতার উপর হামলা এবং ইজিবাইক যোগে উঠিয়ে নেয়ার ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন যুবলীগ নেতা পারভেজ প্রধান। রবিবার ( ২১ জানুয়ারী ) রাতে এ অভিযোগ দায়ের করে মো.হোসেন প্রধানের ছেলে যুবলীগ নেতা পারভেজ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,বিবাদীগণ এলাকার সন্ত্রাস, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী, কিশোরগ্যাং ও প্রতারক প্রকৃতির লোকজন হয় বটে। উল্লেখিত ১নং বিবাদী গত ৬ জানুয়ারী দুবাইয়ে থাকা আমার মামাত ভাই মোঃ খোকন গাজী (৪৮) তাহার নিকট হইতে খোকন গাজীর বাংলাদেশে থাকা স্বজনকে সাড়ে আট ভড়ি স্বর্ণ (৪ টি স্বর্ণের চুরি, ৬টি আংটি) বুঝাইয়া দিবে বলিয়া বাংলাদেশে নিয়া আসে। কিন্তু ১নং বিবাদী খোকন গাজীর স্বজনকে তাহার কাছ হইতে আনিত স্বর্ণালঙ্কার বুঝাইয়া না দিয়া তাহা আত্মসাৎ করে। উল্লেখিত খোকন গাজী আমার দূর সম্পর্কের আত্মীয় বটে। সেসুবাদে খোকন গাজী আমাকে সাথে নিয়া ১৬ জানুয়ারী ফতুল্লা মডেল থানায় ১নং বিবাদীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেসুবাদে আমি ও খোকন গাজী ও ১নং বিবাদী রবিবার ২১ জানুয়ারী রাত ৭ টায় উক্ত বিষয়ে আলোচনার করার জন্য থানায় হাজির হই। উক্ত বিষয়ে থানায় আলোচনা করার পর দুই পক্ষকে দুইদিন পর পুনরায় উক্ত বিষয়ে বসার সিদ্ধান্ত হয়। এমতাবস্থায় আমি ও খোকন গাজী ও আমার চার বন্ধু থানা হইতে বাহির হওয়ার সময় থানার গেইটের বাহিরে হলে বিবাদী মিজানের ছেলে মিলন খান, এমানের ছেলে মোঃ শামীম, চান মিয়ার ছেলে মোঃ মুন্না,আউয়ালের ছেলে মো.আসিফ ও মিলনের স্ত্রী আফরিন জারা আখি সর্বসাং তক্কার মাঠ উকিলবাড়ির মোড় শিয়াচর। তারা অজ্ঞাতনামা আরও ৩০/৩৫ জন বিবাদীদের ভাড়া করে আনে। উক্ত ১নং ও ৫নং বিবাদীদ্বয় ২নং বিবাদী কিশোরগ্যাংয়ের লিডার ও মাদক ব্যবসায়ী শামীমকে ভাড়া করে।
খোঁজ নিয়ে পাওয়া যায় ২নং বিবাদী র্যাবের হাতে অস্ত্র সহ গ্রেফতার নারী নির্যাতন সহ একাধিক হত্যা মামলার আসামী ৩নং বিবাদী মুন্না এবং ৪নং বিবাদী আসিফ তাহাদের নেতৃত্বে তাহাদের সহযোগী ৩০/৩৫ জন অজ্ঞাতনামা কিশোরগ্যাং নিয়া পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ছুরি, চাপাতি ও লাঠিসোঠা সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-স্বস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বে-আইনী জনতাবন্ধে দলবদ্ধ হইয়া আমার ও আমার সহিত থাকা বন্ধু আবুল তাহের খন্দকার, মোঃ নূর আমিন, মোঃ আলাল, মোঃ রাকিবুল ইসলামদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা করিয়া এলোপাথারীভাবে মারধর করিতে থাকে। মারধরের একপর্যায়ে ২নং বিবাদী কিশোর গ্যাংয়ের লিডার শামীম নেশাগ্রন্থ ও মদ্যপান অবস্থায় আমার বন্ধু তাহেরের গলায় চাপিয়া ধরিয়া শ্বাসরোধ করিয়া হত্যার চেষ্টা করে তখন আমার বন্ধু তাহেরের গলায় থাকা একটি আট আনি ওজনের স্বর্ণের চেইন যাহার মূল্য ৫০ হাজার টাকা নিয়া যায়। এরপর বিবাদীরা আমার বন্ধুদেরকে মারধর করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক ও গুরুতর নীলাফুলা জখম করে। আমাদের ডাক- চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা আমাদেরকে বলে যে, যদি এই বিষয়ে কোন প্রকার বাড়াবাড়ি করিস কিংবা থানা পুলিশ করিস তাহা হইলে তোদেরকে যেখানে পাবো প্রাণে মারিয়া ফেলিবো মর্মে হুমকি প্রদান করিয়া চলিয়া যায়। ১নং বিবাদী আমাকে উদ্দেশ্যে করিয়া আরও বলে যে, যদি তুই খোকন গাজীর বিষয়ে কোন প্রকার নাক গলাস তাহা হইলে যেকোনদিন তোর লাশ ফালাইয়া দিবো মর্মে হুমকি প্রদান করিয়া চলিয়া যায়। অতঃপর আশেপাশের লোকজন আম্যর বন্ধুদেরকে খানাপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়া চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। বিবাদীদের এহেন কার্যকলাপের স্বরুণ আমি ও আমার বন্ধুদের নিয়া নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। #