শিরোনাম
রূপগঞ্জে ব্যঙের ছাতার মত গড়ে উঠা হাসপাতাল ক্লিনিকে সিজার ও টেস্ট বাণিজ্য
নিজাম উদ্দিন আহমেদ – রূপগঞ্জ প্রতিবেদকঃ রূপগঞ্জের ভুলতা এলাকায় ব্যঙের ছাতার মত গড়ে উঠা হাতপাতালের কতৃপক্ষ ও ডাক্তারদের যোগসাজশে সেবার নামে সিজার ও টেস্টের রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসকল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় অনেকে প্রাণ হারানোর ঘটনা ঘটছে অহরহ। এদের বিরুদ্ধে উঠছে নানা অভিযোগ।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা জানান, এখানকার বেশিরভাগ হাসপাতালে অদক্ষ চিকিৎসক দিয়ে ভুল চিকিৎসায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে অহরহ। হাসপাতালগুলোতে রুগিদের প্রাণহানির ঘটনায় ফুঁসে উঠতে শুরু করেছে এলাকাবাসী। জানা যায় রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা গাউছিয়া একটি জনবহুল এলাকা। এখানে ছোট-বড় মিলে ইতোমধ্যে ডজন খানেক হাসপাতাল গড়ে উঠছে। এলাকাটি একে তো রাজধানী ঢাকার অতি নিকটে তার পর আবার জনবহুল এলাকা। এখানে যোগাযোগের সুব্যবস্থা রয়েছে অনেক। গাজিপুর চট্রগ্রাম এশিয়া হাইওয়ে সড়ক ও ঢাকা সিলেট মহাসড়কের সংযোগ থাকায় এখানে যোগাযোগের সুযোগ সুবিধা বেশি হওয়ায় হাসপাতালে রুগির মাত্রা ঢাকার তুলনায় অনেক বেশি। ফলে ভুলতা গাউছিয়া এলাকায় হাসপাতাল ব্যবসায়ীরা একের পর হাসপাতালগুলো গড়ে তুলছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সেবা প্রত্যাশীরা রুগী নিয়ে এসকল হাসপাতালে আসলে হাসপাতাল কতৃপক্ষ ও ডাক্তারদের যোগসাজশে, ডাক্তাররা রুগি দেখে প্রথমে ফি আদায় করে নেয় ৭ /৮ শত টাকা। তারপর ৬/৭ টা টেস্টের নাম লিখে প্রেসক্রিপশন হাতে ধরিয়ে দেয়। টেস্টগুলো করতে বিল করা হয় ১২/১৫ হাজার টাকা। তারপর টেস্টের রিপোর্ট দেখতে আবারও ৬/৭ শত টাকা ফি দিতে হয়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ডাক্তারের ফি, টেস্ট ফি, আবার টেস্টের রিপোর্ট দেখাতে ফি।
এটা চিকিৎসা তো না, এটা একেবারে শাঁখের করাত। এসকল হাসপাতালে কোন রুগি একবার ঢুকলে তাদের সর্ব শান্ত হয়ে বের হওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকে না। ঔষধের টাকা দিতে সর্বশান্ত হয়ে পড়ে রুগীর পরিবার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাসপাতালগুলোর মধ্যে কিছু কিছু হাসপাতালে ডেলিভারির রুগি আসলেই বলা হয় রুগির অবস্থা তেমন ভালো না, ২ /৩ ঘন্টার মধ্যে সিজার না করলে সমস্যা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ডাক্তার ও হাসপাতাল কতৃপক্ষ রুগিদের এভাবেই ভয় দেখিয়ে সিজার করাতেও বাধ্য করা হচ্ছে।
রুগীদের অভিযোগ হাসপাতাল কতৃপক্ষ ও ডাক্তাররা রোগিদের মানসম্পন্ন সেবা না দিয়ে এসকল রুগিদের কাছ থেকে বিভিন্ন টেস্ট ও সিজারের নামে রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে আসছে। এ ব্যাপার কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ করা উচিত।
সেবা নিতে আসা অন্য এক রুগি অভিযোগ করে বলেন এখানকার হাসপাতালে জরুরি বিভাগগুলোতে একজন করে ডাক্তার থাকলেও বাকি ডাক্তারের কাজ চালানো হয় নার্স দিয়ে। আবার এখানে নার্স হিসেবে যারা কাজ করেন তারা কেউ কোন অভিজ্ঞ বা প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত নয়। এ হাসপাতালগুলোর প্রধান বাণিজ্য হলো সিজার টেস্টের। কারণ সিজার করেই ২০/২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া যায়।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ মশিউর রহমানকে মোবাইলে ফোনে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বলেন তিনি ডাঃ মশিউর রহমান না। ভুল নাম্বার বলে তিনি ফোন কেটে দেন। #