শিরোনাম
ভিক্ষুকের জমি আত্মসাৎ করার অভিযোগ আলমগীর ও নুরউদ্দিনের বিরুদ্ধে
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ ফতুল্লার চর বক্তাবলীর গোপালনগর এলাকায় মানসিক রোগী চাঁন মিয়া নামে এক ৭০ বছরের বৃদ্ধকে ফুসলিয়ে সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে নিয়ে জমি বিক্রয়ের জন্য স্বাক্ষরে করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে একই এলাকার আলমগীর ও নুরউদ্দিনের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে বৃদ্ধ চান মিয়ার ছেলে লাল মিয়া আলমগীর ও নুরউদ্দিনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বিবাদী সিদ্দিক মিয়ার ছেলে মো.আলমগীর ও মোতালিবের ছেলে মো.নুরউদ্দিন চান মিয়ার প্রতিবেশী। ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ চাঁন মিয়া একজন মানসিক রোগী। গত ৯ জানুয়ারী বিবাদীদ্বয় তার বৃদ্ধ পিতা চাঁন মিয়াকে বিভিন্নভাবে জমি ব্রিয়ের জন্য ফুসলিয়ে আসছিলো। এ ধারবাহিকতায় ঐদিন বিবাদীদ্বয় একই এলাকার সাহাবুদ্দিনের ছেলে রহিমের কাছে জমি বিক্রয়ের জন্য আমার বৃদ্ধ পিতাকে দলিলে সহি দেয়ার জন্য ফতুল্লা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে নিয়ে রেজিষ্ট্রি করে নেন। উক্ত দিন হতে আমার বৃদ্ধ পিতার কোন খোজ পাচ্ছিনা। বিবাদীদ্বয় এবং বর্তমানে জমির ক্রেতা দাবীদার রহিম আমাদের বাড়িতে এসে আমাদের সম্পত্তি থেকে চলে যাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও প্রান নাশের হুমকী দিয়ে আনছে। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৩ জানুয়ারী সকাল ১০টায় বিবাদীদ্বয় আমাদের বাড়িতে এসে হুমকী প্রদান করে বলেন, তুই বা তোরা যদি এ বাড়ি হতে চলে না যাস তাহলে তোদেরকে জোড় করে বের করে দেয়া হবে। বিবাদীদ্বয়ের এহেন কর্মকান্ডে কোন উপায়ন্তর না পেয়ে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করি।
এ দিকে অভিযোগের পর সরেজমিনে গনমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারেন,বৃদ্ধ চাঁন মিয়া একজন মানসিক রোগী এবং ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন যাপন করেন। তার দুই স্ত্রীর ( দুইজন মৃত ) ঘরে ৬ সন্তান। বিবাদী নুরউদ্দিন ও আলমগীর ইতিপুর্বে বৃদ্ধ ভিক্ষুকের প্রায় ৪ লাখ টাকা আত্মসাৎত করেন পুনরায় বিবাহ করিয়ে দেয়ার নাম করে। বর্তমানে বৃদ্ধ চাঁন মিয়ার যে সাড়ে ৩ শতাংশ জমি রয়েছে যার বর্তমান বাজার মুল্য প্রায় ২৫ লাখ টাকা। কিন্তু অর্থলোভী নুরউদ্দিন ও আলমগীর নামমাত্র মুল্যে সেটা রহিম নামে অপর প্রতিবেশীর কাছে বিক্রি করেন। স্থানীয়রা জানান,বৃদ্ধ চান মিয়া প্রায় ১০দিন যাবত নিখোজ রয়েছে। তার পরিবারের সদস্য ব্যতিত আমরাও তাকে শহরের বিভিন্নস্থানে খুজেছি কিন্তু পাইনি। যে ব্যক্তি ১০ দিন যাবত নিখোজ রয়েছেন সে কিভাবে ৬ দিন আগে জমি বিক্রি করেন। আমাদের ধারনা বিবাদীদ্বয় হয়তবা জমি জোড়পুর্বক লিখে নিয়ে বৃদ্ধ চান মিয়াকে মেরে তার লাশটি গুম করে ফেলেছেন। আমরা আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করবো তারা যেন অতিদ্রুত নুরউদ্দিন ও আলমগীরকে গ্রেফতার করে নিখোজ বৃদ্ধকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয় এবং তার রেখে যাওয়া জমিটুকু উদ্ধার করে সন্তানের মাঝে লিখে দেয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক কামরুজ্জামানের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি ফোকাস নিউজ এজেন্সী’কে জানান,এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগের কাগজ আমি পাইনি। থানায় গিয়ে কাগজ সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।#