শিরোনাম
হাই স্কুল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত | বই বিক্রি সহ অতিরিক্ত সেসন চার্জ আদায়
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল এখন শিক্ষার পরিবর্তে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ভুইয়া অভিভাবকদের নোটিশ দিয়ে জানিয়েছেন ছাত্রদের জন্য পাঠ সহায়ক সকল বই স্কুলের লাইব্রেরী থেকে ক্রয় করতে হবে। তিনি একই নোটিশে বলেন প্রাথমিক শাখার ১২শ শিক্ষার্থী কে একটি হ্যান্ডওয়াশ,একটি সাবান,একটি ডায়মন্ড কালার বক্স ,একটি শার্পনার,একটি ফাইল এবং একটি কিচেন টিসু বক্স জমা দিতে হবে। এদিকে শিক্ষক সমিতির নামে প্রধান শিক্ষক সহ মাহাবুবুর রহমান এবং সাথী সাহা প্রত্যেক শিক্ষকের কাছ থেকে দুইহাজার টাকা করে চাদা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।জানুয়ারী মাসে ভর্তি ফি বাবদ ৫০০টাকা এ নিয়ে অভিভাবক এবং শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।পরিচালনা পরিষদের সভাপতি চন্দন শীল জানান তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। হেড মাষ্টার সহ কয়েকজন শিক্ষক এ ধরনের নোটিশ প্রদান করে গভনিং বডিকে বিব্রত করছে।গত একমাস যাবৎ স্কুলে নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে না। প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ভ‚ইয়া স্কুলে নিজকক্ষে অবস্থান না করে মসজিদে গিয়ে বসে থাকেন।
দেশের ঐতিহ্যবাহী নারায়নগঞ্জ হাই স্কুলে বর্তমানে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।্১২৬ জন শিক্ষক রয়েছে।ছাত্র শিক্ষক ও অভিভাবদের অভিযোগ চলতি বছর সরকারী নিয়ম উপেক্ষা করে ভর্তির সময় অতিরিক্ত ৫০০টাকা অর্থাৎ ২৫০০টাকা করে আদায় করা হয়েছে।অথচ শিক্ষাবোর্ডের নিয়ম অনুষায়ী ২০০০টাকা নেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। ১৫লাখ টাকা অতিরিক্ত াাদায়ের বিষয়ে গভনিং বডির কোন সদস্যই জানেন না বলে জানিয়েছেন।নার্সারী শ্রেনীর অভিভাবক স্বরস্বতি সাহা জানান,ভালো স্কুলের কারনে তার সন্তান কে নারায়নগঞ্জ হাই স্কুলে ভর্তি করে এখন বিপদে আছে। এখন প্রায় দুই হাজার টাকার বিভিন্ন সামগ্রী কিনতে হবে।এটা অযৌক্তিক ভাবে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। এব্যারে অন্য অভিভাবক সুনিল সাহা জানান,স্খুল চলাকালীন সময়ে হেডমাষ্টারের রুম বন্ধ থাকে। কিছু অভিযোগ জানাতে হলে মাহবুবুর রহমান এবং সাথী সাহাকে জানাতে হয়।তিনি জানান নার্সারীর শিক্ষার্থীদের নোটিশের বিষয়ে প্রধান শিক্ষককের সাথে যোগাযোগ করার জন্য গত দুইদিন যাবত চেষ্টা করে তাকে তার অফিসে পাওয়া যায় নাই । মনিং শিফট ইনচার্জ সাথী সাহার সাথে কথা বললে তিনি বলেন সভাপতি চন্দন শীলের সাথে কথা বলেন। চন্দন শীল তার ফোন রিসিভ করেনি।
এব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন কথা বলতে রাজী হয়নি।তিনি অফিস বন্ধ করে নামাজ ঘরে বসে ছিল। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানান স্কুলের ভিতর বই বিক্রি করার কোন নিয়ম নাই। প্রধান শিক্ষক কোন নোটিশ দিতে পারেনা।আর সরকারী ভাবে সহায়ক বই নিষিদ্ধ।তিনি বলেন বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো। এ ব্যাপারে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের স্কুল পরিদর্শক আবুল মনসুর টেলিফোনে জানান,নারায়নগঞ্জ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এধরনের কোন প্রকার নোটিশ দিতে পারে না। তিনি জানান সরকার নির্ধারিত সেসন চার্জের বিষয়ে সরকার নির্দেশিত ফি ২০০০টাকার বেশি নিয়ে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। #