হাই স্কুলে শিক্ষকদের মধ্যে চলছে দলাদলি | কোন কারণ ছাড়াই ৪ জন শিক্ষক ছাটাই
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ ঐতিহ্যবাহী নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুলে পড়াশোনার নামে চলছে তুঘলকি কান্ড। দেড় মাসেও সকল পিরিযড শুরো হয়নি।বিনা করনে ৪ জন শিক্ষককে ছাঁটাই করা হয়েছে।এরা হলেন হোসনে আরা হেনা,ডলি বনিক,সুপর্না সাহা ও সঞ্জয় ভৌমিক। এর মধ্যে হোসনে আরা হেনা আদালতে মামলা করেছে। হেড টিচার মাহমুদুল ইসলাম ভুইয়া,শিক্ষক মাহবুবুর রহমান এবং সভাপতির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত শিক্ষক সাথী সাহা অন্য সকল টিচারদের হুমকি দিচ্ছে, তাদের কথা মতো না চললে চাকরিচ্যুতির করা হবে। গভনিং বডির সদস্যারা এ সব বিষয়েকিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন।কে পরিচালনা করছেন স্কুল সেটা জানেন না অভিভাবকরা।তারা অভিযোগ করেন সভাপতি চন্দন শীল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়ে দায়িত্ব নেয়ার পর কর্মব্যস্ত হয়ে পড়ায় নিয়মিত স্কুলে আসছে না। অপরদিকে সদস্যরা নিয়মিত আসে না। এ সুযোগে হেড মাষ্টার মাহমুদুল ইসলাম ভুইয়াকে সাথে নিয়ে শিক্ষক মাহবুবুর রহমান ও সভাপতির বিশেষ আশির্বাদ পুষ্ট শিক্ষক সাথী সাহা স্কুল পরিচালনা করছে। হেড টিচার ও পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান তাদের দুইজনের কাছে জিম্ম হয়ে আছে।ভর্তি থেকে শুরু করে স্কুলের সকল কার্যক্রম এখন তাদের দুইজনের নিয়ন্ত্রনে।উল্লেখ শিক্ষক মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে একটি মামলা তদন্ত হচ্ছে। তার মামা স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক আমিনুল হক খন্দকার স্কুলের অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে কারাবরণ করেন।বর্তমানে সে মামলা চলমান আছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক জানান সভাপতি চন্দন শীলের প্রশ্রয়ে এরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।সভাপতি সাথী সাহা সহ অনেককে নিয়ে লং ড্রাইভে নিয়ে যাচ্ছেন। এসব ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় স্কুলের বাইরে অভিভাবকদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠছে। নারী শিক্ষকদের বিব্রত হতে হচ্ছে।
এদিকে প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল ইসলাম ভুইয়ার ছেলে কে অনৈতিক ভাবে স্কুলে টিচার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়াও ২৩ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গভনিং বডির সদস্যরা বিশাল এই নিয়োগের ব্যাপারে কিছুই জানেন না তারা অভিযোগ করেন।
পহেলা জানুয়ারি থেকে শ্রেণী কার্যক্রম শুরু হলেও এখন পর্যন্ত নিয়মিত ক্লাস শুরু হয়নি। এমনকি শিক্ষার্থীদের রুটিন দেয়া হয়নি। আর অভিভাবক আমিনুল ইসলাম জানান কোন বিষয়ে অভিযোগ করলে হেড মাষ্টার বলেন মাহবুব কিংবা সাথী কে বলেন। প্রায়ই হেড মাষ্টার তার রুমে কিংবা মসজিদে বসে থাকেন। স্কুলের পড়াশোনার বিষয়ে কোন দায়বদ্ধতা নেই।গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে স্কুলের সমস্যা নিয়ে গভনিং বডির সভাপতি চন্দন শীলের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি জানান অন্যান্য কাজে আমি ব্যাস্ত থাকি।তাই স্কুলে কম যাওয়া হয়। মাহবুব সাহেব কিংবা সাথী সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে আমি দেখবো।প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল ইসলাম ভুইয়াকে তার কক্ষে পাওয়া না গেলেও তিনি জানান স্কুল ঠিক মতো চলছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পুরো স্কুল শুরু করার জন্য রুটিন তৈরি করা হবে।তিনি জানান। স্কুলের শিক্ষকদের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কঠিন হতে হয়।তিনি জানান চারজন শিক্ষককে চাকুরীচ্যুত করা হয়েছে সভাপতির অনুমতি নিয়ে।
এদিকে মাহবুব এবং সাথীর নেতৃত্বে শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রতিমাসে চাঁদা তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ
পাওয়া গেছে। প্রতিমাসে ৫০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। কেনো এ টাকা আদায় করা হচ্ছে শিক্ষক মাহবুবুর রহমান কোন জবাব না দিয়ে এড়িয়ে চলে যান। #