শিরোনাম
আজ ২৭ এপ্রিল ৭খুনের নয় বছর | দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের নয় বছর আজ। দীর্ঘ বছরে হতাহতের পরিবারগুলো নিম্ন আদালত থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রায় পেয়েছে। নৃশংস হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার দায়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত সাবেক কাউন্সিল নূর হোসেন, তারেক সাইদ, আরিফ হোসেন এবং মাসুদ রানা, সাবেক র্যাব কর্মকর্তা সহ মোট ২৬ আসামীকে মুত্যুদন্ড এবং ৯ জনকে ১০ বছর করে ও আলামত নষ্ট-ধ্বংস করার দায়ে আরো ৭ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করেন।
এ রায় পেয়ে বাদিপক্ষ ও হতাহতের পরিবার সন্তোষ প্রকাশ করলে ও ৭ পরিবারের মধ্যে ৫টি পরিবারের সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে অনেক পরিবার এখনও মানবেতর জীবন যাপন করছে।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের লামাপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবি চন্দন সরকারসহ ৭জনকে অপহরণ করে র্যাব। অপহরণের তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীর বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকায় এক এক করে সাত জনের লাশ ভেসে উঠে। এ ব্যাপারে নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও নিহত আইনজীবি চন্দন সরকারের জামাতা ডা. বিজয় কুমার পাল বাদি হয়ে ফতুল্লা থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামীদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও স্বাক্ষীদের সাক্ষ্য পর্যবেক্ষন করে ৩৩ মাস পর মামলার রায় প্রদান করেন।
পরিবার গুলোর দাবি, পরিবারের সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে অনেক পরিবার এখনও মানবেতর জীবন যাপন করছে। নিম্ন আদালতের রায় যেন উচ্চ আদালতের আপিল ভিবাগে যেন বহাল থাকে। এবং রায়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলে নিহতদের আত্বার শান্তি পাবে এমনটাই দাবি তাদের।
নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী ও মামলার বাদি সেলিনা ইসলাম বিউটি এবং ভাই হারানো স্বজনরা দাবি করেছে, সাত খুনের মামলা নিম্ন আদালতে রায় পেয়েছি। উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে বর্তামানে শুনানী চলছে। আমাদের নিহতের পরিবারের দাবি, সরকার এবং বিচার বিভাগের কাছে দাবি নিহতে পরিবারের দিকে তাকিয়ে সাত খুনের বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর করে।
বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান জানান,নিম্ন আদালতের পর বর্তমানে রায়টি হাইকোট থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি অপেক্ষায় রয়েছে। আপিল বিভাগের ধীরগতি রাষ্ট্র এর জন্য দায়ী রাষ্ট্র চাইলে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি হতো। আসামিরা অর্থ এবং প্রভাবশালী হওয়ায় রায়টি পিছিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। এতে তারা সফলও হচ্ছে বলে আইনজীবী জানিয়েছেন। #