মহাসড়কে কাঁচাবাজার ব্যাপক চাঁদাবাজি | হাইওয়ে পুলিশ নিরব ?
রূপগঞ্জ প্রতিবেদকঃ ঢাকা সিলেট মহাসড়কে বাজার বসিয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজি করলেও হাইওয়ে পুলিশ নিরব বলে অভিযোগ উঠেছে। এখানে কাঁচাবাজার, বিভিন্ন মালামালের পরসা সহ ভ্যানগাড়ির যানজটে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। পথচারীরা রাস্তা পারাপারে দুর্ঘটনার স্বীকারও হচ্ছে অনেকে । ফাঁড়ি পুলিশ মহাসড়ক পরিস্কার রাখতে হিমসিম খাচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশের নিরবতায় জনমনে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার ঘটতে শুরু করেছে।
সরেজমিনে দেখা যায় মহাসড়কের বেশিরভাগ অংশ দখলে রাখে ফুটপাত ব্যবসায়ী। চাঁদাবাজরা এদের থেকে প্রতিদিন তুলে নেয় লাখ লাখ টাকা। মহাসড়কে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যানজট থাকায় ভোগান্তিতে পড়ে পথচারীসহ দূরপাল্লার পরিবহন যাত্রীরা। যানজটে আটকে পড়া গাড়ির হাইড্রলিক্স হর্ণেও অসুস্থ হয়ে পড়ে পথচারীসহ হাসপাতালের রোগী। সাধারন মানুষের অভিযোগ চাঁদাবাজ, কাঁচপুর হাইওয়ের পুলিশ ও ফাঁড়ি পুলিশের যোগসাজশে মহাসড়কে ফুটপাত বসানো হয়েছে। মহাসড়ক দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ নাম বলতে রাজি হয়নি।
জানা যায় গাউছিয়া এলাকার তাঁতবাজার, আব্দুল হক মার্কেট ও গাউছিয়া কাঁচাবাজারে প্রায় হাজারখানেক দোকান থাকলেও এসকল দোকান একেবারেই ফাঁকা। ফুটপাতে হকার বসার সুযোগ পাওয়ায় মার্কেটের দোকানে কেউ ব্যবসা করতে পারে না। মার্কেটের দোকানগুলো এখন আড়ৎ হিসাবে রেখে মহাসড়ক দখল করে ব্যবসা করে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, এসকল মার্কেটে লাখ লাখ টাকার দোকান থাকলেও সেখানে কোন বেচাকেনা নাই শুধু ফুটপাতের কারনে, কাষ্টমাররা সব ফুটপাতে চলে যায়। ফুটপাতের ব্যবসা ভালো। হকারদের অভিযোগ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাদের টাকা দিয়ে ফুটপাতে ব্যবসা করতে হয়। টাকা নেয়ার ব্যাপারে কারো নাম বলতে রাজিনা।
ভুলতা ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান ফাঁড়ির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মহাসড়ক হাইওয়ে পুলিশের আওতায়। তার পরও আমরা যানজট ও ফুটপাত পরিস্কার করার চেষ্টা করে আসছি। ভিআইপি ও ৯৯৯ নাম্বারের সমস্যা দেখতে হয় বেশি।
এ বিষয়ে ভুলতা হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ টিআই
মোঃ নাঈম বলেন আমি নতুন আসছি, আমি বিষয়টি দেখবো। সচেতনমহল মনে করেন সাওঘাট কাঁচামালের আড়ৎ থাকায় এভাবে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তাই মহাসড়কের যানজট নিরসনে কাঁচাবাজারের আড়ৎ উচ্ছেদের বিকল্প নেই। #