শিরোনাম
সাইর্বোড টানিয়ে কৃষকে জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়ার অভিযোগ
বন্দর প্রতিবেদকঃ বন্দরে ভূমিদস্যুরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সরকারি ভূমি ছাড়াও নিরীহ সাধারন মানুষের ফসলি জমি বসতবাড়ি নানা কৌশলে দখল করে নিচ্ছে ওই সকল ভূমিদস্যুরা। অভিযোগ রয়েছে ওইসব ভূমিদস্যুদের অপর্কমে সহযোগিতা করছে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ছেলে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, ধান্দাবাজ সাংবাদিক ও অসাধু কিছু ভূমি কর্মকর্তা।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানাগেছে, ভূমিদস্যুদের অত্যাচারে নিরীহ মানুষ তাদের জমিজমা ও বসতিবাড়ি হারিয়ে বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। স্থানীয় প্রশাসন রয়েছে নিরব ভূমিকায়। হুমকি দামকি ছাড়াও দুর্বৃত্তরা জমি ও বসতবাড়ি মালিককে মারধর এবং কুপিয়ে জখম করার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এসব ঘটনায় কোন কোন সময়ে পুলিশ মামলা না নিয়ে উল্টা মিমাংসার প্রস্তাব দিচ্ছে। ভূমিদস্যুরা বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা বিল, হাজীপুর বিল, বুরুন্দী বিলসহ প্রায় অর্থশতাধিক এলাকার বিলের ফসলি জমি, বসতবাড়ি, সরকারি সম্পত্তি, রেলওয়ে সম্পত্তী ও সরকারি বিভিন্ন জলাশয় রাতারাতি অবৈধ বেকু দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে ফসলি জমি ধ্বংস করে দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে মাধবপাশা এলাকার মৃত জয়নাল মিয়ার ছেলে ভূক্তভোগী শাহজাহান মিয়া জানান, বিজ্ঞ নারায়নগঞ্জ যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতে দেওয়ানী মামলা নং ৮৬/২৩ চলমান মামলা ও ১৪৫ অমান্য করে মদনগঞ্জ ইসলামপুর এলাকার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ ফজলু মিয়ার ছেলে ভূমিদস্যু ও দলিল লেখক ইমরান ও আলীনগর এলাকার অপর ভূমিদস্যু আলাউদ্দিন দেওয়ানজী ও ফরাজিকান্দা এলাকার অপর ভ’মিদস্যু নাজিম প্রধান গং ভূয়া ওয়ারিশের মাধ্যমে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তী দখলের পাঁয়তারা করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় শনিবার (৫ আগষ্ট) দুপুরে ফরাজিকান্দার বিলে শাহজাহান মিয়ার পৈত্রিক ফসলি জমি থেকে উল্লেখিত ভূমিদস্যুরা অবৈধ বেকু দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে য়ায়। তিনি কান্না জনিত কন্ঠে আরো বলেন, ৪৫ বছর পূর্বে আমার পিতা মরহুম হাজী জয়নাল আবেদীন ৮১৮০ ও ৩৮০৩ দুই দলিল মূলে মৃত আব্দুল মজিদ মিয়ার কাছ থেকে ৬৩ শতাংশ জমি ক্রয় করে পৈত্রিক সূত্রে আমি ও আমার অন্যান্য ভাই বোনরা মালিক হয়ে উক্ত জমিতে ৪৫ বছর ধরে চাষাবাদ করছি।
উল্লেখিত ভূমিদস্যুরা আমাদের জমির উপর ভূয়া সাইবোর্ড টানিয়ে জমি দখলসহ ফসলি জমি মাটি কেটে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা বি.এম. কুদরত এ খুদা জানান, গত সপ্তাহে আইন শৃঙ্খলা মিটিং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে কোন উপায় ফসলি জমি রক্ষা করা হবে। জমি কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আমি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করব। এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ আবু বকর সিদ্দিক জানান, ভূমিদস্যুরা দেশ ও জাতির শত্রæ। তাদেরকে চিহিৃত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।#