শিরোনাম
ধর্মীয় মর্যাদায় বন্দরে জশনে জুলুস ঈদ এ মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপিত
বন্দর প্রতিবেদকঃ যথা যোগ্য মর্যাদায় বন্দরে ৪৮তম ঐতিহাসিক জশনে জুলুস ঈদ এ মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপিত হয়েছে। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় বন্দর থানার ১৯নং ওয়ার্ডের মদনগঞ্জ বটতলা মোড় থেকে জশনে জুলুস শোভাযাত্রাটি বের হয়ে বন্দরে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে নবীগঞ্জ কদম রসুল দরগাহ শরীফে এসে জুলুসের শোভাযাত্রাটি সমাপ্ত করা হয়। জশনে জুলুস শোভাযাত্রার নেতৃত্ব প্রদানসহ আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন আওলাদে রাসুল আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী আল আবাদেী (মা.জি.আ.)।
জুলুস মোবারককে কেন্দ্র করে বন্দরের প্রধাণ প্রধাণ সড়কে তোড়ন, ব্যানার, ফেষ্টুন, পোষ্টার, লিফলেট ছেয়ে গেছে। আখেড়ী মোনাজাতের পূর্বে আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী বলেন, মুসলমান দেখতে সব এক রকম। তাহলে নবীর দুশমন আপনি কিভাবে চিনবেন? ঈদে মিল্লাদুন্নবী আসলে নবীর দুশমন চেনা যায়। ওরা নবীর আগমনে খুশি না। এজন্য তারা ঈদে মিল্লাদুন্নবী’র বিরোধীতা করে। নবীর শানে কোন কথা শুনলেই তাদের গাজ্বলে যায়। ওই সকল বেদাতী মৌলবিদের চিহিৃত করতে হবে। যারা নবীর আগমনে খুশী হয় মনে রাখবেন তারা নবীর আশেক।
যারা নবীর আগমনে বিরোধীতা করে তারা নবীর দুশমন। জুশন জুলুস উদযাপন কমিটির সভাপতি হাজী মোবারক হোসেন কমল খান বলেন, সৈয়দ মোঃ আবেদ শাহ আল মাদানী (রঃ) এর নেতৃত্বে বাংলাদেশে সর্ব প্রথম জশনে জুলুসের প্রতিষ্ঠা হয়। নবীর শিক্ষা বুকে ধারন করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব। সকলকে মনে রাখতে হবে এটা কারো ব্যাক্তিগত অনুষ্ঠান না। এই জুলুস নবীর শানের অনুষ্ঠান। জশনে জুলুস আমরা অতিতে করেছি ভবিষ্যতেও করব। জশনে জুলুসে শোভাযাত্রায় ওই সময় উপস্থিত ছিলেন জশনে জুলুস উদযাপন কমিটি সাধারন সম্পাদক হাজী আশাবুদ্দিন আশু, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহাম্মেদ, ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন ও ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাউছার আশাসহ নবীর শতশত আশেকান বৃন্দ। #