শিরোনাম
বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অব্যবস্থাপনা কারনে স্বাস্থঝুঁকিতে রয়েছে সাধারন জনগন
বন্দর প্রতিবেদকঃ বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের সীমাহীন র্দূনিতী, অব্যবস্থাপনা ও চরম উদাসিনতার কারনে এখানকার সাধারন জনগন মারাত্মক ভাবে স্বাস্থঝুঁকিতে রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ হাসপাতালে শৌচাগারে রোগীর মলমূত্র পূঁজ আর রক্তমাখা ও বিছানার চাদর এসব কাপড় চোপড় কোনোমতে পরিষ্কার করে হাসপাতালেই ছাদেই শুকানো হচ্ছে। এতে দুর্গন্ধে ভারি হয়ে উঠছে সেখানকার পরিবেশ। তবুও বছরের পর বছর এভাবেই চলছে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে হাসপাতালের কাপড় পরিচ্ছন্নের কাজ। এমন সংবাদ পেয়ে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম এ রশিদ, মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে আসেন।
ওই সময় হাসপাতালের ইনচার্জসহ দায়িত্বরত ডাক্তার না থাকায় এম এ রশিদ পরিদর্শন পূর্বক তদন্ত করে চলে যান এবং এ বিষয়ে আগামী বৃহস্পতিবার সকালে পুনরায় হাসপাতালে আসবেন বলে জানান। বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালের কাপড় পরিষ্কারের কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে দায়িত্ব ছেড়ে দেয়। আর টেন্ডারের পান আকিল নামে এক ব্যাক্তি। বন্দরের বাগবাড়ি এলাকার আলহাজ্ব চুন্নু মাষ্টারের ছেলে ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ানের ভাই আকিল। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আকিল মিয়া নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের বানানো নিয়মে চালছে কার্যক্রম। হাসপাতালের বাহির থেকে কাপড় চোপড় পরিস্কার এবং লন্ড্রি করে হাসপাতালে পৌঁছে দেয়ার নিয়ম থাকলেও তোয়াক্কা করছে না ওই ব্যাক্তি। এভাবেই চলছে হাসপাতালের কাপড় পরিচ্ছন্নের কাজ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালের শৌচাগারে মেঝে সারাক্ষণ পানিতে ভাসে। এসব নোংরা জায়গায় ধোয়া হচ্ছে কাপড় চোপড় এবং হাসপাতালের ময়লা ছাদেই শুকানো হচ্ছে এসব কাপড়। কোন ধরণের নজরদারি নেই স্বাস্থ্য ঝুঁকির মতো এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে। সরকারি হাসপাতালে এসবের বিষয়ে গুরুত্ব দেবার মতো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই কোন নজরদারি। হাসপাতাল্রে শৌচাগারে সখিনা নামে এক নারীকে কাপড় পরিস্কার করতে দেখা গেছে। তিনি এখানেই কাপড় পরিস্কার করে ছাদের উপর শুকাতে দিয়ে থাকে এবং কোন লন্ড্রি ছাড়াই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কাপড় বুঝিয়ে দেয় বলে জানা গেছে। এবিষয় আকিলের ব্যবহৃত নম্বরে যোগাযোগ করলেও তিনি কল রিসিভ করেনি। বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: বেলায়েত হোসেন জানান, হাসপাতালে কাপড় দোয়ার কোন নিয়ম নেই, বাহির থেকে ধুয়ে লড্রিং করে হাসপাতালে পৌঁছে দিবে। বিষয়টি আমার নলেজে ছিল না আমি দেখতেছি। #