আড়াইহাজারে গণডাকাতি আহত ৪, ককটেল উদ্ধার
আড়াইহাজার প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে সোমবার দিবাগত রাতে দুই বাড়ীতে হানা দিয়েছে সশস্ত্র ডাকাত দল। তারা তেমন কিছু নিতে না পারলেও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ৪ জনকে কুপিয়ে কখম করেছে। এদের মধ্যে দুজনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। আহতরা হলেন আলাউদ্দিন (৪৮), তার ছেলে মাসুদ (২৮), রাসেল (৩০) ও মনির (২৮)। ঘটনাগুলো ঘটেছে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া (তাঁতিপাড়া) ও নগরজোয়ার এলাকায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অবিষ্ফোরিত ৩টি ককটেল উদ্ধার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত দেড়টার দিকে কলাগাছিয়া (তাঁতিপাড়া) এলাকার ব্যবসায়ি মজিবুল্লাহ নাহিদের বাড়ীতে ঢুকে তার বাড়ীর পাহারাদার আমজাদ হোসেনকে হাত পা বেধে এবং মারপিট করে ফেলে রাখে একদল ডাকাত। তার চিৎকার শুনে পাশের বাড়ীর মালিক আলাউদ্দিন ও তার ছেলে মাসুদ জেগে উঠলে ডাকাতদল আলাউদ্দিনের ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে এবং তাদের বাপ ছেলে দুজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে তাদের ঘর থেকে ৪ আনা ওজনের স্বর্ণের এক জোড়া কানের জিনিস, একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও নগদ ৮ হাজার টাকা লুটে নেয়। এ সময় মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়ার কথা এলান করা হলে লোকজন জড়ো হতে থাকে। তখন ডাকাত দল পালিয়ে যেতে থাকে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে। এদিকে আক্রান্ত বাড়ীতে এলাকাবাসী জড়ো হলে ডাকাতদল ঘটনাস্থল থেকে অর্ধ কিলোমিটার পশ্চিমে নগরজোয়ার গ্রামে মনিরের বাড়ীতে প্রবেশ করে এবং মনিরের ছেলে আরফান (২৮) ও একই বাড়ীর মৃত জাব্বারের ছেলে রাসেল (৩০) কে কুপিয়ে জখম করে ওই বাড়ী থেকেও এক জোড়া কানের জিনিস, মোবাইল ফোন এবং কিছু নগদ টাকা নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাত দল পর পর ৩টি ককটেল নিক্ষেপ করলে ককটেল গুলো বিষ্ফোরিত হয়নি। পুলিশ মঙ্গলবার সকালে ককটেল গুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।এলাকাবাসি জানায়, পার্শ্ববর্তী ব্রাহ্মন্দী গ্রামে কয়েকদিন পর পর বাউল গানের আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার ও ওইখানে বাউলগান ছিল। রাত ব্যাপী মাইকে গানবাজনার শব্দের কারণে ডাকাত পড়ার বিষয়টি সবাই আঁচ করতে পারেনি। অন্ধকার রাতে এলাকা থেকে এসব গানবাজনা বন্ধ করার জন্য এলাকাবাসি দাবী জানিয়েছে।
আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসানউল্লাহ জানান, অন্ধকার রাতে ডাকাতির প্রবণতা বেড়ে যায়। পুলিশ ডাকাতি রোধ কাজ করে যাচ্ছে। তাবে তিনি এ ব্যাপারে এলাকাবাসির ও সহযোগিতা চেয়েছেন। #