শিরোনাম
রূপগঞ্জে বইছে নির্বাচনী হাওয়া | প্রার্থীদের নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ
নিজাম উদ্দিন আহমেদ – রূপগঞ্জ প্রতিবেদকঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ-১ আসন রূপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ছেয়ে গেছে নির্বাচনী পোষ্টার ও ব্যানার৷ উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের পাড়া মহল্লার অলিতে-গলিতে চলছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। প্রার্থীদের নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
কেউ মাইকিং করে ভোট চাচ্ছে। কেউ লিফলেট বিতরণ করছে। প্রার্থীদের গণসংযোগ করতে দেখা গেছে। এ আসনে ৯ জন প্রার্থী। দলীয় মনোনয়ন পেয়েছে ৫ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪জন। এদের মধ্যে প্রচারে শীর্ষে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের তিন তিন বার নির্বাচিত সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের তিন তিনবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও কেটলি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ শাহজাহান ভুইয়া। জাতীয় পাটির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের সাইফুল ইসলাম। তৃণমূল বিএনপির মনোনিত সোনালী আঁশ প্রতীকের তৃণমূল বিএনপি মহাসচিব এড. তৈমুর আলম খন্দকারসহ ৪ প্রার্থী। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তারা প্রার্থী ও সমর্থনকারীরা এলাকার বিভিন্ন পাড়া মহল্লার অলিতে-গলিতে নির্বাচনী প্রচার ও গণসংযোগ করে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন।
এরা আলোচিত চারজনই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
তবে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এগিয়ে থাকা গাজীর জনপ্রিয়তা নিয়ে ভোটারদের কাছে বেশি আলোচনায় এসেছে তার নাম ভাঙিয়ে চলা নেতা কর্মীদের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও জমি দখল নিয়ে।
নির্বাচনের এই মুহূর্তে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসা সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি বিষয়টি। আর এ বিষয় নিয়ে বেশি আলোচনা ও সমালোচনার মধ্যে পড়ছেন নৌকা প্রতীক মনোনীত গোলাম দস্তগীর গাজী।
বাকি প্রার্থীরা হলেন, বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের মনোনীত মোমবাতি প্রতীকের একেএম শহিদুল ইসলাম, জাকের পার্টির মনোনীত গোলাপ ফুল প্রতীকের মো. জোবায়ের আলম ভূঞা, স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের গাজী গোলাম মর্তুজা, আলমারি প্রতীকের মো. হাবিবুর রহমান, ট্রাক প্রতীকের মো. জয়নাল আবেদীন চৌধুরী।
তবে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রাপ্ত তিন তিন বার নির্বাচিত সাংসদ ও রূপগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক প্রচারণায় রয়েছে শীর্ষে। তিনি এবার নিয়ে চার বার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পান। এ উপজেলার উন্নয়ন নিয়ে জনগণের দ্বারে দ্বারে ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। আবারও শতভাগ জয়ের আশা নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচন সূত্রে জানা যায়, ২৩ হাজার ৪৭৬ বর্গ কিলোমিটার উপজেলায় ২টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের ২২২ টি গ্রামে ভোটার সংখ্যা হলো ৩,৮৫,৬১৬ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১,৯৬,৮৯৪ এবং মহিলা ভোটার ১,৮৮,৭২০ জন। এখানে ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১২৮টি। #