হাই স্কুলের গভর্নিং বডি’র নির্বাচন বন্ধের পায়তারা | ভোটারদের মধ্যে ক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ ঐতিহ্যবাহী নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজে গভর্নিং বডির আসন্ন নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। শিক্ষা বোর্ডের নীতি মালা অনুযায়ী গত ১৪ জানুয়ারীর মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে নির্বচন বন্ধ রেখে এডহক কমিটি গঠনের পায়তারা করা হচ্ছে ব’লে অভিযোগ করেন দাতা,শিক্ষক ও অভিভাবক কাটাগরির ভোটাররা।তারা এ ব্যাপারে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
নারায়নগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজ এ শহরের একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থী বর্তমানে এখানে পড়াশোনা করছে। ১৪০ বছরের পুরাতন এ স্কুলটি ২০১০ সাল থেকে শিক্ষকদের অভ্যন্তরিন কোন্দলে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেলে অভিভাবকরা স্কুল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।এ-সময় স্কুলের প্রায় অর্ধকোটি টাকা তহবিল আত্মসাৎ করার অভিযোগে তৎকালীন প্রধান শিক্ষক খন্দকার আমিনুল ইসলাম একবছর কারাবরণ করেন।২০১০ সালে স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী কাসেম জামালের নেতৃত্বে নতুন কমিটি গঠন করে।তখন কাসেম জামালের পরিচালনায় স্কুলটি পুর্বের হারানো ঐতিহ্য ফিরে পায়।এদিকে ২০১৭ সালে শিক্ষানুরাগী কাসেম জামাল কে পরিবর্তন করে ২০০১ সালে বোমা হামলায় দুই পা হারানো চন্দন শীল কে সভাপতি করে গভর্নিং বডি করা হয়েছে।
২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৬ বার গভর্নিং বডির নির্বাচন সম্পন্ন হলেও অজ্ঞাত কারণে ২০২৪ সালের নির্বাচন বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে এ বছর দুইজন আজীবন সদস্য সহ ৩২ জন দাতা সদস্য নিয়মনীতি অনুযায়ী টাকা জমা দিয়ে ভোটার হলেও তারা নির্বাচন বন্ধ থাকায় ভোট প্রদান করতে পারছে না। দাতা সদস্য মোহন সাহা অভিযোগ করেন তিনি ২০২৩ সালের ২৮ জুলাই দাতা সদস্য হিসেবে বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী চাঁদা জমা দিয়েছি। তিনি জানান বিধি অনুযায়ী ১৪ জানুয়ারীর মধ্যে নির্বাচন করার কথা। ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হলেও আজকে পর্যন্ত নির্বাচন করা হচ্ছে না। অপর দাতা সদস্য মনতোষ হালদার বলেন গভর্নিং বডির নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল ইসলাম ভ‚ইয়ার সাথে কথা বলতে গেলে তিনি জানান গভর্নিং বডির নির্বাচন অনিশ্চিত। এখনো কোন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়নি। বর্তমান কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ন হলে এডহক কমিটি করা হবে। তিনি জানান প্রধান শিক্ষকের কাছে আমাদের দাতা সদস্যের ডোনেশন ফেরত চাইলে তিনি মামলা করতে বলেন। এদিকে গভর্নিং বডির নির্বাচনে আগ্রহী অভিভাবক আমিনুল ইসলাম, মায়া বেগম, এডভোকেট শামীম, পপি রানী সাহা, আলেক উদ্দিন, আবদুল খালেক জানান তারা প্রত্যেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছেন কিন্তু নির্বাচন কেনো বন্ধ রাখা হয়েছে তারা প্রধান শিক্ষকের কাছে জিজ্ঞেস করে কোন উত্তর পাচ্ছে না। নির্বাচন নিয়ে হেডমাষ্টার তালবাহানা করছে।এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল ইসলাম ভ‚ইয়ার সাথে কথা বললে তিনি সরাসরি জানিয়ে দেন গভর্নিং বডির সভাপতি চন্দন শীল এর নির্দেশে নির্বাচন বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হলে এডহক কমিটি করা হবে। তিনি জানান হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী কমিটির সভাপতি দুইবারের বেশি হতে পারবে না। বর্তমান সভাপতি চন্দন শীল তিনবার সভাপতি হয়েছেন। এখন এডহক কমিটিতে নতুন সভাপতি কাকে করা হবে সেটি জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলা হয়েছে।#