রূপগঞ্জে হকার উচ্ছেদে হেনস্থার শিকার ইউপি চেয়ারম্যান।
রূপগঞ্জ প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় ফুটপাথ থেকে হকার উচ্ছেদ করতে গিয়ে ভুলতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আরিফুল হক ভূঁইয়া হকারদের হাতে হেনস্থার শিকার হয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকাল সাড়ে চারটায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভুলতা এলাকার গাউছিয়া মার্কেটের সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে বিভিন্ন দোকানপাট বসানো হতো। ফুটপাত দখলের ফলে বেশিরভাগ সময়ই মহাসড়কটিতে যানজট লেগে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হতো। ৪৬ দিন আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আহসান মাহমুদ রাসেলসহ উপজেলা প্রশাসন ভুলতা এলাকার ফুটপাত পুরো উচ্ছেদ করে দেয়। এরপর থেকে হকাররা ফুটপাতে স্বল্প জায়গা নিয়ে বসলে পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। এভাবেই মহাসড়কের আশেপাশে চলতে থাকে চোর পুলিশের খেলা।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, শুক্রবার বিকালে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল হক ভূঁইয়া এক আখের রস বিক্রেতাকে ফুটপাত থেকে সরে অন্য কোথাও গিয়ে আখের রস বিক্রি করতে বলেন। ওই বিক্রেতা ফুটপাত থেকে সরতে রাজি না হলে আরিফুল হক ক্ষিপ্ত হয়ে যান। এ সময় দুজনের মাঝে বাগবিতণ্ডা শুরু হলে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। লোকজন জড়ো হতে দেখে ভুলতা ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এক পর্যায়ে আরিফুল হক ভূঁইয়া আখের রস বিক্রেতাকে মারধর করেন। আখের রস বিক্রেতাকে মারধর করায় অন্যান্য হকার ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানকে হেনস্থা করেন। পরে দুই পক্ষকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আরিফুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি আখের রস বিক্রেতাকে ফুটপাথ থেকে সরে অন্য স্থানে যেতে বললে সে না গেলে আমি তাকে পিঠে একটি থাপ্পড় দেই। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তার পক্ষে কথা বলতে শুরু করে। এতে হকাররা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।
নাম না বলার শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ভুলতা ফাঁড়িতে সদ্য যোগদান কৃত বারেক নামের অফিসার হকারদের পক্ষ নিয়ে ব্যারিস্টার আরিফুল হক ভূঁইয়াকে হেনস্থা করেছে।
এই ঘটনায় সচেতন মহল মনে করেন ফুটপাতে বিশাল একটি গোষ্ঠীর স্বার্থ জড়িত ছিল, ব্যারিস্টার আরিফ এই ফুটপাতের বিপক্ষে থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে আর সে কারণে ব্যারিস্টার আরিফের উপরে
এই হামলার ঘটনা ঘটতে পারে।
বিষয়টি প্রশাসনের খতিয়ে দেখা দরকার।
এ ব্যাপারে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আরিফুল হক ভূঁইয়ার উচিত পুলিশ প্রশাসনকে সাথে নিয়ে হকার উচ্ছেদ করতে যাওয়া। তিনি না জানিয়েই ফুটপাত উচ্ছেদ করতে গেছেন। আরিফুল হক ভূঁইয়ার ওপর হকাররা চড়াও হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। #