মাওলা আলী (রাঃ) ওফাত দিবসে ঢাকা নাবাব বাড়ি খানকায়ে দারুল ইস্কে ফাতেহা পাঠ দোয়া
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ ২০ রনজান মাওলায়ে কায়েনাত শেরে খোদা হযরত মাওলা আলী (রাঃ) এর ওফাত দিবস উপলক্ষে নকক্সবন্দ আবুল ওলাইয়া তরিকার ঢাকা নাবাব বাড়ি খানকায়ে দারুল ইস্কে ফাতেহা পাঠ দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০ রমজান রবিবার ৩১ মার্চ বাদ আসর ঢাকা নাবাব বাড়ি খানকায়ে দারুল ইস্কে ফাতেহা পাঠ দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শেরে খোদা হযরত মাওলা আলী (রাঃ) এর ওফাত দিবস ফাতেহা পাঠ করে বিশেষ মেনাজাত করে দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল কামনা করা হয়।
এসময় নকক্সবন্দ আবুল ওলাইয়া তরিকার ঢাকা নাবাব বাড়ি খানকায়ে দারুল ইস্কের বর্তমান গদ্দিনাসীন পীরজাদা হযরত শাহ সৈয়দ খাজা আবুজার হাসান নক্সেবন্দ আবুল ওলাই , হযরত শাহ সৈয়দ খাজা ওয়াজির হাসান নক্সেবন্দ আবুল ওলাই , হযরত শাহ সৈয়দ খাজা ওয়াদ হাসান নক্সেবন্দ আবুল ওলাই , হযরত শাহ সৈয়দ খাজা তাহা হাসান নক্সেবন্দ আবুল ওলাই উপস্থিথ ছিলেন। এসময় তরিকরের পীড় ভাই বোন আশেকান মুরিদান ভক্তবৃন্দরা উপস্থিথ ছিলেন।
উল্লেখ্য,
হযরত আলী বিন আবী তালিব (রাঃ) হলেন ইসলামের চতুর্থ খলিফা, আহলে বায়াতের সদস্য, বালায়তের সম্রাট, নবী করিম ﷺ’র চাচাতো ভাই ও জামাতা। বালকদের মধ্যে তিনি সর্ব প্রথম নবুয়তের ডাকে সাড়া দিয়ে মাত্র ১০ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন অকুতভয় যোদ্ধা। বদর যুদ্ধে বিশেষ বীরত্বের জন্য হযরত মুহাম্মদ ﷺ তাঁকে “জুলফিকার” নামক তরবারি উপহার দিয়েছিলেন। খাইবারের সুরক্ষিত কামূস দুর্গ জয় করলে মহানবী (ﷺ) তাঁকে “আসাদুল্লাহ” বা আল্লাহর সিংহ উপাধী দেন।৪০ হিজরীর ২১ (বা ১৯) রমজান (২৮ জানুয়ারী ৬৬১ খ্রিষ্টাব্দ) এ ইবনে মুজলিম বিষাক্ত বিষে মাখা একটি তলোয়ার দিয়ে হযরত আলী রাঃ এর মাথায় আঘাত করে এবং এই আঘাতের কারণেই ঘটনার দুইদিন ২১ রনজান পর ৬২ বা ৬৩ বছর বয়সে হযরত আলী (রা.) শাহাদাত বরণ করেন। হযরত উমর রাঃ ও হযরত উসমান রাঃ এর পর তৃতীয় খলিফা হিসেবে তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। #