ষড়যন্ত্র / বন্দরে ওসির বিরুদ্ধে ভিভিহীন সংবাদ প্রকাশে সর্বমহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া


নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ বন্দরে ওসির বিরুদ্ধে ভিভিহীন সংবাদ প্রকাশের ঘটনা বন্দরে সর্বমহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
নারী মাদক ব্যবসায়ীর ভিত্তিহীন সাংবাদ সম্মেলনে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের চেষ্টা শিরোনামে গত ২৪ আগস্টে স্থানীয় একাধিক পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টাল এ সংবাদ প্রচার হয়।
সংশ্লিষ্ট এলাকার সচেতন মহল উল্লেখিত সংবাদের সাধুবাদ জানালেও গাত্রদাহ বেড়ে গেছে বন্দর থানারসহ বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া একাধিক মাদক মামলার আসামি তালিকাভূক্ত মাদক সম্রাট মতিউর রহমান জনি ওরফে ব্লাক জনি তার স্ত্রীসহ একটি কুচক্রি মহলের।
গত ২১ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকায় স্থান, সময় উল্লেখ না করে ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলনের সংবাদ প্রচার করে ওসি ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা চেষ্টা চালিয়েছে। যা শাক দিয়ে মাছ ডাকার চেষ্টা মত ঘটনা । স্থানীয় পত্রিকা সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তা সংবাদটি আমলে নেয়নি। গত ২৫ আগস্ট পুনরায় ব্লাক জনির স্ত্রী হাবিবা বেগম এর জনৈক রতন এর মোবাল নম্বরে ( ০১৭৯৩২৪৬৩১৩) কথোপকথনের ভিডিওসহ পুনরায় স্থানীয় সংবাদপত্রগুলোতে পাঠায় যা বিভ্রান্তিকর বলে মনে করেছেন স্থানীয় পত্রিকাগুলোর সচেতন উর্ধতন কতৃপক্ষ। কিন্তু স্থানীয় ২টি পত্রিকায় মঙ্গলবার ২৬ আগস্টে “বন্দরে ইয়াবা দিয়ে চালান ও ৫লক্ষ টাকা আদায়ের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলনের পর ওসির সাধু সাজার চেস্টা” শিরোনামে ওসি লিয়াকত আলীর ছবিযুক্ত সংবাদ প্রচার হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এলাকাবাসী গনমাধ্যমকে জানায়, সুচিয়ারবনের মূর্তিমান আতঙ্ক মাদক সম্রাট মতিউর রহমান জনি ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের অত্যাচারে চরম ভাবে অতিষ্ট হেয় উঠেছে সচেতন মহল। সে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে দীর্ঘ দিন ধরে উল্লেখিত এলাকায় এক চাটিয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। গ্রেপ্তার এড়াতে মাদক সম্রাট ব্লাক জনি সচিয়ারবন এলাকাসহ তার নিজবাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে প্রশাসনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে আসছিল।
এ ব্যাপারে উল্লেখিত রতন এর মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে জানায়, সে ৬ মাস যাবৎ সিলেট জেলায় বসবাস করছে বলে ফোন লাইন কেটে দেয়।
বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, বন্দরে যোগদানের পর আলোচিত জোড়া খুনের আসামি সহ চুরি, ডাকাতি ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও নানা অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ভুমিকা রেখেছি বলে আপনারা জানেন। বন্দরের সুচিয়ার বন এলাকার জেলা পুলিশ সুপার স্যারের পুরস্কার ঘোষিত মাদক ব্যবসায়ী ব্লাক জনি ও তার স্ত্রী হাবিবা বেগম তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ী। এদের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। মাদক কারবারি পরিবারের ভিত্তিহীন মিথ্যাচার অপপ্রচারে বন্দর থানা পুলিশ মুটেও ভিত নয়। তবে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত থাকবে। সাংবাদিক আর পুলিশ মিলেমিশে কাজ করলে সমাজ থেকে চিরতরে মাদক নির্মূল হবে। সাংবাদিক ভাইদের সঠিক তথ্যের মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।#