আড়াইহাজারে যাত্রাপালা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি, একজনের মৃত্যু
আড়াইহাজার প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে যাত্রাপালা আয়োজনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তির হয়েছে। ধস্তাধস্তিতে সময় ধাক্কার শিকার হন হারিস সরকার (৪৮) নামে এক ব্যক্তি। তিনি বাড়ি যাওয়ার পথে সড়কে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এসময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে দ্রæত হাসপাতালে নেয়ার নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। বুধবার মধ্যরাতে উপজেলার মেঘনাবেষ্টিত কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের খালিয়াচর গ্রামে এ ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। নিহত হারিস সরকার ওই এলাকার আলমাছ সরকারের ছেলে।পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, খালিয়ারচর পশ্চিমপাড়া অহিদের বাড়িতে বুধবার রাতে যাত্রাপালার আয়োজন করে স্থানীয় মনির হোসেন, আহসানউল্লাহ, ইউসুফ ও তার সহয়োগিরা। যাত্রাপালার মাঝখানের বক্তব্য দেওয়ার সময় মনির পক্ষের লোকজন সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপনের নাম উচ্চারন করলেও বর্তমান চেয়ারম্যান ফাইজুল হক ডালিমের নাম উচ্চারণ না করায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী মনিরের পক্ষের লোকজনের সাথে ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খোকন সরকারের লোকজনের সাথে বাক বিতন্ডা এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটনা ঘটে। ধস্তাধস্তির সময় ধাক্কার শিকার হন খোকন সরকারের ভাতিজা হারিস সরকার। পরে বাড়ি যাওয়ার পথে অজ্ঞান হয়ে সড়কে পড়ে যান হারিস সরকার। সেখান থেকে তাকে মেঘনা নদী দিয়ে ট্রলারে কুমিল্লা জেলা মেঘনা থানার একটি হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।এ ব্যপারে খোকন সরকার সরকার বলেন, মনিরের লোকজন তার ভাতিজা হারিস সরকারকে ব্যাপকভাবে কিল ঘুষি মারে। এসে সে আহত হয়।পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা হয়েছে। তিনি ঘটনাটিকে হত্যা বলে দাবী করে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।মনিরের পক্ষের লোক আহসানউল্লাহ জানান, স্থানীয় যুবকরা মিলে বুধবার রাতে একটি ম নাটকের আয়োজন করে। সেখানে কোন ধস্তাধস্তির কোন ঘটনা ঘটেনি। হারিস সরকার আগে থেকেই অসুস্থ ছিলো। নাটক দেখে বাড়ি কাছাকাছির যাওয়ার সড়র সড়কে হাট এ্যাটাকে তিনি মারা যান। কিন্তু প্রতিহিংসার বশবতি হয়ে খোকন মেম্বার এ ঘটনাটিকে অন্যদিকে মোড় নেয়ার অপচেষ্টা করছেন বলে তিনি দাবী করেন।আড়াইহাজার থানার ওসি আজিজুল হক হাওলাদার জানান, খালিয়াচরে ম নাটকে নাম বলা না বলা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধস্ত্ধাস্তির ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে এক পক্ষে লোক হারিস সরকার। সে বাড়ি যাওয়ার পথে সড়কে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। হাসপাতাল থেকে কুমিল্লা মর্গে ময়নাতদন্তের পর নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হারিস সরকার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে নাকি হত্যা করা হয়েছে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে তা পরিস্কার জানা যাবে। ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে এ ব্যপারে এখনও কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #