শিরোনাম
স্বপন হত্যায় সেই পিন্টুর ফের মৃত্যুদন্ড, রত্নার যাবজ্জীবন কারাদন্ড
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ শহরে চাঞ্চল্যকর আলোচিত ব্যবসায়ী স্বপন কুমার সাহা ওরফে সাইদুল ইসলাম স্বপন হত্যা মামলায় স্বর্ণলংকার ব্যবসায়ী পিন্টু দেবনাথকে মৃত্যুদন্ডের রায় ও রত্না রাণী চক্রবর্তীকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে আদালত। দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক উম্মে সারাবান তহুরা এ রায় দেন। রায়ে সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামীকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে আর অপর আসামী আব্দুল্লাহ আল মামুন মোল্লাকে খালাস দেয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত পিপি মাকসুদা আহম্মেদ জানান, নিহত স্বপন কুমার সাহা ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে সাইদুল ইসলাম স্বপন নাম ধারণ করেন মুসলিম নারী বিয়ে করেন। স্বপন ও পিন্টু তারা দুইজন বন্ধু ছিলেন। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে তাকে হত্যা পর মরদেহ সাত টুকরো করে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয় আসামিরা। ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই তিনজনকে অভিযুক্ত করে নিহতের বড় ভাই অজিত কুমার সাহা হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশি তদন্ত ও ষোল জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ প্রমানের ভিত্তিতে আদালত আজ পিন্টু দেবনাথকে মৃত্যুদন্ড ও রত্না রাণীকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে এবং আব্দুল্লাহ আল মামুনকে খালাসের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ শহরের কালীবাজারে স্বর্ন ব্যাবসায়ী পিন্টু তার বন্ধু অপর স্বর্ন ব্যাবসায়ী প্রবীর ঘোষকে অপর স্বর্ন তার কর্মচাচরী ভাপেনের সহযোগিতায় হত্যা করে। পরে তার লাশ টুকরো টুকরো করে কালীবাজারে ভাড়া বাড়ির সেপ্টি ট্যাঙ্কিতে লাশ লুকিয়ে রাখে। লাশের পচা দুর্গন্ধ ছড়ালে এলাকাবাসির খবরে সেপ্টি ট্যাংকি থেকে পই স্বর্ন ব্যাবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে। এ মামলায় পিন্টুর মৃত্যুদন্ড ও কর্মচারী ভাপেনের সাত বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত
মৃত্যুদ্বন্ড প্রাপ্ত পিন্টু তার সহযোগি নারী রত্নাকে নিয়ে ব্যাবসায়ী স্বপনকেও হত্যা করে মরদেহ সাত টুকরো করে করে শীতলক্ষ্যা নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেয়। আজ ব্যাবসায়ী স্বপন হত্যা মামলায় রায় ঘোষনা করেছেন আদালত।#