শিরোনাম
স্ত্রীর পরকীয়ায় বাঁধা দেওয়ায় মাসুমকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দরে অটোচালক মাসুম হাওলাদার (৩৫) হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাব। স্ত্রী শিরিনের পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় পরকীয়া প্রেমিক মোঃ সালাউদ্দিন ওরফে সনির পরিকল্পনায় মাসুমকে নৃশংস ভাবে হত্যার পর লাশ কুশিয়ারা এলাকার একটি খালে ফেলে দেওয়া হয়। বুধবার রাতে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মোঃ সালাউদ্দিন ওরফে সনিকে (৩৮) নগরের ডিআইটি মসজিদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তার সনি বন্দর উপজেলার কুমারপাড়া এলাকার মোঃ সিদ্দিকের ছেলে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে র্যাব-১১’র উপ পরিচালক একেএম মুনীরুল আলম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিহত মাসুম হাওলাদার পেশায় অটোচালক ছিলেন। তার স্ত্রী শিরিন ঘটনার কয়েক মাস আগে গ্রেপ্তার সনির কাপড় প্রসেসিং কারখানায় কাজ নেয়। এ সুবাদে তারা পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি মাসুম জানতে পেরে তার স্ত্রীকে সনির কারখানায় কাজে যেতে নিষেধ করে। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রচন্ড ঝগড়া হয়। এ ঘটনা জানতে পেরে সনি মাসুমের উপর ক্ষুব্দ হয়। একারণে সে মাসুমকে হত্যার পরিকল্পনা করে। হত্যার জন্য সনি অপর অটো চালক রানাকে একাজে সম্পৃক্ত করে। গত ৫ নভেম্বর বিকেলে বন্দরের খান বাড়ি এলাকার বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় মাসুম। ওইদিন সন্ধ্যার পর মাসুমকে ঘটনাস্থলে ডেকে নেয় রানা।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, মাসুমের লাশ উদ্ধারের পর সনি ও রানা উভয়ই আত্মগোপন করে। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবের কাছে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে সনি।
উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর বিকেলে বন্দরের খান বাড়ি এরাকার বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় মাসুম। ২দিন পর ৭ নভেম্বর বিকেলে নিহতের লাশ কুশিয়ারা এলাকার একটি খাল থেকে মাসুমের ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় খুনিদের বিরুদ্ধে নিহতের স্ত্রী শিরিন বাদি হয়ে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।#