শিরোনাম
সারা রূপগঞ্জে অবৈধ গ্যাস | গ্যাস নিয়ে বিড়ম্বনায় বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়ারা
নিজাম উদ্দিন আহমেদ – রূপগঞ্জ প্রতিবেদকঃ রূপগঞ্জে গ্যাস নিয়ে বিপাকে পড়েছে এলাকার বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়ারা। গ্যাস উচ্ছেদ করার সাথে সাথে ভাড়াটিয়া চলে যায় যে এলাকায় গ্যাস আছে সেই এলাকায়। ফলে সেই এলাকার বাড়িওয়ারা পড়ে বিপাকে। ওদিকে ভাড়াটিয়ারাও মালছামানা নিয়ে বিপাকে পড়ার অভিযোগ পাওয়া যায় বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে। মোটকথা রূপগঞ্জে অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে মহা বিপদে ঐ এলাকার বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়া। তাই সচেতন মহল মনে করেন অবৈধভাবে সংযোগ একেবারেই উচ্ছেদ করে দেয়াই ভালো।
এলাকাবাসীর অভিযোগ উপজেলাজুড়ে অবৈধ সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে নামধারী নেতারা। আর এর সাথে জড়িত রয়েছে তিতাস গ্যাসের কথিত ঠিকাদার ও দালাল চক্র।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় সারা রূপগঞ্জ জুড়ে চলছে অবৈধ গ্যাসের ছড়াছড়ি। গাউছিয়া এলাকায় এখনো অনেক অবৈধ সংযোগ রয়েছে। এমনকি ডাইং কারখানা চালানো হচ্ছে এসকল গ্যাস দিয়ে।
সাধারণ মানুষ মনে করেন আবাসিক সকল গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বোতলজাত করে কম মূল্যে বাজারজাত করলে আমাদের জাতীয় সম্পদ তিতাস গ্যাসের অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে। এতে করে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্বও পাবে অন্যদিকে মানুষও গ্যাস ব্যবহারে সাচ্ছন্দ্য বোধ করবে।
তারা বলেন একেতো রূপগঞ্জে গ্যাস সংকটের কারণে বন্ধের পথে শিল্প কারখানাগুলো, অন্যদিকে অবৈধ গ্যাস সংযোগের ছড়াছড়ি। জানা যায় বার বার তিতাস অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেও রাতের আধারে সংযোগ করে নিচ্ছে একটি চক্র। এ ভাবেই কথিত কিছু নামধারি নেতারা রাতারাতি অঢেল সম্পদের মালিকও বনে গেছেন।
সচেতন মহল বলেন এই চক্রটি দেশের মূল্যবান জাতীয় খনিজ সম্পদ প্রাকৃতিক গ্যাস লুট করে প্রতি মাসে সরকারকে বিপুল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করছে। গত ২০১০ সালের ১৩ জুলাই থেকে আবাসিক গ্যাস সংযোগ বন্ধ করা হলেও তিতাস গ্যাস কোম্পানির কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে সরকার দলীয় নামধারী নেতাদের মাধ্যমে মোটা অংকের নগদ নারায়ণের বিনিময়ে অবৈধ সংযোগ দিয়ে যাচ্ছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে রাতের আঁধারেই এসব অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়া হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন দেশের মূল্যবান খনিজ সম্পদের অপচয় হচ্ছে, তেমনি সরকারও প্রতিমাসে বিপুল পরিমাণের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিতাস গ্যাস কতৃপক্ষ মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেও তা আবার গোপনে পুনঃসংযোগ দেওয়া হয়। নিম্নমানের পাইপ দিয়ে এসকল অবৈধ সংযোগ নেয়ায় অধিকাংশ রাইজারের গোড়া দিয়ে ফিস ফিস শব্দে গ্যাস নির্গত হতেও দেখা যাচ্ছে। এতে অনেক এলাকায় গ্যাস লিকেজ হয়েও অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটছে অহরহ।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁও আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের প্রকৌশলী সুরুজ আলম ও মেসবাহ উর রহমান বলেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগের ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছি। কোনো ছাড় নয়। এলাকায় একটিও অবৈধ গ্যাস সংযোগ থাকবে না। #