শিরোনাম
নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুলের ১৩ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীর ফরম পূরন অনিশ্চিত
নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুলের ১৩ জন এসএসসি পরিক্ষার্থীর ফরম পূরন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এই সব শিক্ষার্থীর ফরম পূরনের বিষয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে অভিভাবকরা। গত দুই দিন ধরে এই সব শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা সকাল সন্ধ্যা স্কুলে অবস্থান করেও তাদের সন্তানদের পরীক্ষার ফরম পূরনের বিষয়ে অনিশ্চিতায় মধ্যে সময় কাটাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক জানান, ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল থেকে ৩২৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন কারার কথা ছিল। এ জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের গ্রহনকৃত টেষ্ট পরীক্ষায় মাত্র ১১৯ জন উত্তীর্ণ হয়। পরবর্তীতে অনুউত্তীর্র্ণ ২০৭ জন পরীক্ষার্থীকে প্রতি বিষয়ে ৩০০ টাকা করে নিয়ে তাদের রি-টেষ্ট গ্রহন করে ১৪০ জনকে উত্তীর্ণ করে। পরবর্তীতে আরেকবার রিটেস্ট নিয়ে ৩০ জনকে উত্তীর্ণ করেছে। তাদের কাছ থেকেও প্রতি বিষয়ের জন্য ৩০০ টাকা করে ফি আদায় করে। এর পরেও অনুত্তীর্ণ আরো ১৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ফরম পূরনের জন্য অপেক্ষমান তালিকায় রাখা হয়। সোমবার (৯ জানুয়ারি) অপেক্ষমান তালিকায় থাকা ১৩ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে আবারো ৩০০ টাকা করে পরীক্ষার ফি আদায় করা হয়।
এদিকে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকালে অনুউত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে জানতে পারেন ৮ জানুয়ারী ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধিনে ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষর্থীদের ফরম পূরন শেষ হয়ে গেছে। তাদের সন্তানদের ফরম পূরন এবং ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
অপর একজন অভিভাবক জানান, তিনি ৯ জানুয়ারী সোমবার স্কুলের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি চন্দন শীলকে অবহিত করলে তিনি তাৎক্ষনিক ভাবে প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ভুইয়াকে ১৩ জন শিক্ষার্থীর ফরম পূরনের নির্দেশ দিলেও অজ্ঞাত কারণে তাদের পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের ফরম পূরন না করে আগামি বৃহস্পতিবার পূনরায় তাদের রি-টেস্ট নেয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন বলে অভিভাবকদের জানান।
তিনি অভিভাবকদের জানিয়েছেন, স্কুলের পরীক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষক মাহবুবুর রহমান এবং সাথি সাহা সভাপতিকে ভুল বুঝিয়ে নতুন করে রি-টেস্ট নেয়ার ব্যবস্থা করেছে। এর বেশী কিছু তিনি জানেন না। তবে তিনি জানান, এই ১৩ জন শিক্ষার্থীর ফরম পূরনের নির্ধারিত সময় শেষ হলেও তারা চেষ্টা করবেন বোর্ড থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে তাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহন করার চেষ্টা করবেন।
একজন অভিভাবক জানান, বোর্ড এর নির্দেশ অমান্য করে স্কুল কর্তৃপক্ষ অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রি-টেস্ট বাবদ প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা অফিসিয়াল রিসিট দিয়ে আদায় করেছে। অথচ বোর্ডের নির্দেশনা রয়েছে, কোন রি-টেষ্টে শিক্ষার্থীও কাছ থেকে কোন টাকা নেয়া যাবে না। এ ব্যাপারে অভিভাবকরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। #