রূপগঞ্জে বালু ব্যবসায়ীদের ড্রেজারে ধ্বংস করছে কৃষি জমি
নিজাম উদ্দিন আহমেদ -রূপগঞ্জ প্রতিবেদকঃ রূপগঞ্জে বালু ব্যবসায়ীরা বালু ভরাট করে ধ্বংস করছে কৃষি জমি। ড্রেজারের পাইপের কারণে এলাকার শতশত পরিবার বাড়িঘর নির্মাণের কাজও বন্ধ হয়ে গেছে। অভিযোগে জানা যায়উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন মাহনা বড় বাড়ি হতে ডহরগাঁও কাতরা পর্যন্ত কয়েক হাজার একর কৃষি জমিতে বালু ভরাট করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় আবাদি জমি কৃষি কাজের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। একটি প্রভাবশালী মহল শীতালক্ষা নদী থেকে বিশ পঁচিশ টা হাউজিং কোম্পানির বালু ভরাটের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।এ প্রভাবশালী মহল হাটাব এলাকা থেকে আধুরিয়া মাহনা এলাকা পর্যন্ত আবাসিক এলাকার মধ্যে অনেক জমিতে বাড়ি নির্মাণেও সন্ত্রাসীদের দিয়ে বাধা দেয়া হচ্ছে। বন্ধ করতে বা পাইপ সরাতেও কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না।ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন এলাকার কৃষকরা জমিতে ধানচাষ করতে না পারলে আগামীতে তাদের খাদ্যের সংকট দেখা দেবে এবং কি খেয়ে বাঁচবে এমনও প্রশ্ন করেন তারা।জানা যায় বালুর ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় শত চেষ্টা করেও ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। প্রতিবাদ করতে না পেরে নিরবেই কেঁদে যাচ্ছে নিরীহ মানুষগুলো।আরো জানা যায় বালু ব্যবসায়ীরা অনেক এলাকায় কাঁচা পাঁকা রাস্তা, বাড়ি করার মত জমির উপর দিয়ে ড্রেজারের পাইপ বসিয়ে বালু ভরাটের ব্যবসা করলেও বন্ধ করার কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আগাম পূর্বাভাস ছিলো ২০২৩ সালে দেশে দুর্ভোগের সতর্কসংকেত। তারা এ সংকেত পাওয়ার পরও তারা এসকল ফসলি জমিতে চাষাবাদ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। এর ফলে এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ্য নিরহ মানুষদের মধ্যে চলছে নিরব কান্না। তাদের অভিযোগ বালু ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক নেতাদের ছত্র ছায়ায় (আশ্রয় প্রচ্ছয়ে) জবরদস্তি করে নিরিহ মানুষের জমির উপর দিয়ে বালুর ড্রেজারের পাইপ বসিয়ে বালু ভরাটের রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে আসছে। কৃষি জমিতে বালু ফেলে জমিগুলো ফসলের চাষাবাদ করার অনুপযোগী করে দিচ্ছে। জমির মধ্যে পাইপ থাকায় বাড়ি ঘর নির্মাণে বাধাগ্রস্থ হওয়ায় আটকে পড়ছে বাড়িঘর নির্মাণ কাজ। ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না এসকল নিরহ পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরাও বাড়িঘর করতে না পারায় জমি বিক্রি করে অন্যত্র চলে যাচ্ছে অনেকে।এলাকাটি রাজধানী ঢাকার অতি নিকটে হওয়ায় কম দামে জমি কিনার সুযোগে দেশের বিভিন্ন এলাকার চাকরিজিবি ও ব্যবসায়ীরা এই এলাকায় বসত বাড়ি করার আশায় জমি কিনে রাখেন। ইদানিং ওসকল জমির উপর দিয়ে বালুর ড্রেজার পাইপ নেয়ায় ওসকল জমিতে বাড়ি ঘর করার কোন সুযোগ নেই। তারা না পারছে পাইপ সরাতে আর না পারছে বাড়ি করতে। অনেকে ক্ষিপ্ত হয়ে জমি বিক্রি করে চলে যাচ্ছে বলেও জানা গেছে।উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন মাহনা বড় বাড়ি হইতে ডহর গাঁও কাতরা পর্যন্ত জমিগুলো বালি ভরাটের কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে কৃষি জমিতে কয়েক হাজার আবাদি জমি কৃষি কাজের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এলাকার কৃষকরা বলেন, জমিতে ধানচাষ করতে না পারলে আগামীতে আমাদের খাদ্যের সংকট দেখা দেবে।এ ব্যাপারে থানা কৃষি কর্মকর্তা ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানিয়েও কৃষকরা ব্যর্থ হয়েছে বলে আমার সংবাদকে জানায় স্থানীয় কৃষকরা।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকলেও একমাত্র বালু ব্যবসায়ীদের প্রভাবের কারণে কৃষি জমিতে চাষবাস বন্ধ হয়ে গেছে। #