শিরোনাম
স্কুলের সম্পত্তি দখলে নিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিল
বন্দর প্রতিবেদকঃ বন্দরের ৬০ নং বালিগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মিত ভবনের বাকী অংশ সম্পত্তি দখল করেছে নাসিরউদ্দিন নামে এক স্কুলশিক্ষক ও তার পরিবার। স্কুলের সম্পত্তি দখলের বিরোধী গ্রামবাসীর চলচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে নাসিরউদ্দিন। শত বছরের চলাচলের এক মাত্র ভরসা রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়ায় বিকল্প ব্যবস্থায় পায়ে হেঁটে চলাচলে চমর দূর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা ও বালিগাঁও সহ ৪/৫ গ্রামবাসী।
প্রশাসনিক নিরবতা ও জনপ্রতিনিধিদের ব্যর্থতায় দীর্ঘদিনের জনদূর্ভোগে পরিনত হয়েছে বলে বালিগাঁও গ্রামবাসীর অভিযোগ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার মুছাপুর ইউপির ৫নং ওয়ার্ড বালিগাঁও গ্রামের মৃত জামালউদ্দিনের দানে নির্মিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বহুতল ভবন। ভবনের বাকী অংশ স্কুলের সম্পত্তি দখল করে ঘর দোকান পাট নির্মাণ করে ভাড়া তুলছেন একই গ্রামের বাসিন্দা, মালিবাগ সরকারও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নাসিরউদ্দিন ও তার লোকজন। স্কুলের সম্পত্তি দখলে নেয়ায় গ্রামবাসীর রোষানলে পড়েন নাসিরউদ্দিন। এতে গ্রামবাসীর উপর নাসিরউদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে স্কুলের জমির উপর ভবনের উত্তর পাশ দিয়ে গ্রামবাসীর চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেন। চলাচের রাস্তা বন্ধ করে রাখায় রাস্তা ছাড়া অবরুদ্ধ এ গ্রাম। স্কুলের সম্পত্তি দখলের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই নাজেহাল হয়েছেন অভিযোগ রয়েছে।
স্কুল কমিটির সাবেক সভাপতি আব্দল মান্নান মাষ্টার জানান, স্কুলের নামে দুই দলিলে ৬৬ শতাংশ জমি লিখে দেয় জামালউদ্দিন মাষ্টার। তার ছেলে নাসিরউদ্দিন স্কুলের বাকী অংশ সম্পত্তি এখনো দখলে রেখেছে। স্কুলের সম্পত্তি দখলমুক্ত করতে গ্রামবাসী প্রতিবাদ করে আসছে। এতে ক্ষুব্ধ নাসির। গ্রামবাসীকে সাহেস্তা করতে চলাচলের রাস্তা জোর পূর্বক বন্ধ করে রেখেছে। রাস্তা বন্ধ করে রাখায় দূর্ভোগ পোহাচ্ছে গ্রামবাসী। রাস্তাটি স্কুলের সম্পত্তির উপর দিয়ে বয়ে গেছে বালিগাঁও গ্রামে। পার্শ্ববর্তী পিচকামতাল গ্রামের বাসিন্দা ইব্রাহিম মিয়া জানান, স্কুলের সম্পত্তি দখল নিয়ে বালিগাঁও গ্রামের দুই পক্ষ অবস্থান বহুবছর। আরো কয়েক বার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে নাসির। পরবর্তীতে বিচার সালিশ বৈঠক বসে রাস্তা সরানো হয়েছে। দখল নিয়ে কথা বলায় বালিগাঁও গ্রামের চলাচলের রাস্তা ফের বন্ধ করে দিয়েছেন নাসির। এ নিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে নাসিরউদ্দিন ও তার পরিবারের লোকজনের মধ্যে যে কোনো সময়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।
অভিযুক্ত দখলদার নাসিরউদ্দিন জানান, আমাদের পৈত্তিক সম্পত্তি ভোগদখলে রয়েছি। এ সম্পত্তি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আদালতে মোকদ্দমা চলমান। মোকাদ্দমা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের দখলেই থাকবে। কারো রাস্তা বন্ধ করা হয়নি। আমাদের পৈত্তিক সম্পত্তিতে বেড়া দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম কুদরত এ খুদাকে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।