জমে উঠেছে কদমতলা বাজারের মেলা
জমে উঠেছে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল ঐতিহ্যবাহী কদমতলা বাজারের মেলা। প্রতি বছরের দুর্গা পূজার নবমী দিনে এই মেলা বসে থাকে। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) ছিল দুর্গা পুজার নবমী দিন। এলাকাবাসী ও দোকানদাররা মিলে এই মেলার আয়োজন করে। বিকাল থেকে শুরু হয় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এই মেলা। চলে দশমীর দিন পর্যন্ত। আজকে শেষ দিন।এ মেলা উপলক্ষে দুপুর থেকে কদমতলা বাজারে লোকজনের সমাগম ঘটতে থাকে। রাস্তার দুইপাশে ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা বিভিন্ন দোকানপাট গড়ে তোলেন। সঙ্গে স্থানীয় দোকানিরা তো রয়েছেনই।মেঘলা আকাশ, থেমে থেমে বৃষ্টি। পথ-ঘাট কিছুটা ভেজা। তাতে কি, সেই প্রতিকুলতার মাঝেই পোতা হয়েছে বাঁশের খুঁটি, উপরে পলিথিনের কাগজ। লাল কাপড়ে ঘেরা চারিদিক। ভিতরে উঁকি মারছে হরেক রকমের গরম টাটকা মিষ্টি। চারপাশ ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ক্রেতারা।এ ছাড়াও ঝলমল করছে চুরি, ফিতা ও কানের দুলসহ নানান ধরনের মাটির খেলনা। এই দোকান ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে নারী ও কিশোরীরা। সঙ্গে শিশু কিশোরের দল। শিশুদের মূখ থেকে ভেসে আসছে বাঁশির বাজনা।স্থানীয় নারদ মালো, কৃষ্ণ মালো, আউয়াল শেখ, তমিজদ্দিনসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, প্রত্যেক বছরে শারদীয় দূর্গাপূজার নবমীর দিনে ভাওয়াল কদমতলা বাজারে এই মেলা বসে। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। তবে আগে অনেক বড় পরিসরে এই মেলা বসতো। এখন মেলার ব্যাপ্তি ও জেল্লা অনেক কমেছে।এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অন্তত ৮-১০টি গ্রামের মানুষ মেলায় আসে কেনাকাটা করতে। প্রতিবছর মেলা উপলক্ষে নৌকা বাইচ হয়। তবে এবার বীর মুক্তিযোদ্ধা বাচ্চু মাতুব্বারের একটি নৌকা বাইচ দিতে দেখা যায়। এ ছাড়া অন্য কোনো নৌকা বাইচে আসেনি। তাই হয়নি। বহু বছরের পুরানো এই ঐতিহ্যবাহী মেলায় ছিল ক্রেতাদের ভিড়।