রূপগঞ্জে লোডশেডিয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন
রূপগঞ্জ প্রতিবেদকঃ বুধবার ( ১০ মে ) জাস্ট রাত ১২টা। নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -২ এর আওতায় রূপগঞ্জে তখন তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঠিক এরমধ্যে রূপগঞ্জের প্রতিটি এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। সমিতির আওতায় ৫টি ফিডার রয়েছে। রাত বারটার সাথে সাথে চলে যায় বিদ্যুৎ। তা আবার দুই ঘন্টায়ও আসে না। শুরু হয় জনদুর্ভোগ। বিদুৎ না থাকায় তীব্র গরমে অনেকেই ঘর ছেড়ে রাস্তায় বের হয়ে যান। রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করেন। ভপসা গরমে শিশুরাও শুরু করে কান্নাকাটি। এদের থামাতে মায়েদের যেতে রাস্তায়। একেতো বিদ্যুৎ নেই তার পর আবার মশার কামড়। মানুষের জীবন একেবারেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠে।
লোডশেডিং নিয়ে একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন। আলোচনা করতে থাকে সরকারের বিদুৎ বিভাগের কর্মকান্ড নিয়েও। অনেকেই মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন সরকারের বিদুৎ বিভাগের অনেক সফলতা ছিলো, কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগের গ্রীডে আছে এন্টি গর্ভামেন্ট কিছু কর্মকর্তা। তারা ওখানে ঘুপটি মেরে বসে সরকারের বিদ্যুতের সফলতার বারটা বাজিয়ে চলছে। এভাবেই পক্ষে বিপক্ষে কথা চলতে থাকে দীর্ঘ সময়। তারা এটাও আশা করেন অন্তত বিদ্যুৎ বিভাগের এসকল ঘুপটি মেরে থাকা রাজাকারদের বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে সরালে সরকারের সফলতার ফল ভোগ করবে জনগণ। গোলাকান্দাইল এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদী হাসানের সঙ্গে কথা হয়। তিনি আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, গত কিছুদিন ধরে রূপগঞ্জে তীব্র গরম। কিছুক্ষণ পরপরই বিদ্যুৎ চলে যায়।
বিদ্যুৎ চলে গেলে বাসায় বসে থাকার কোন উপায় থাকে না। প্রচন্ড গরমে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। তারপর আবার রাত বারটায় চলে যায় বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ গিয়ে টানা দুই ঘন্টা দেখা মিলেনা। সচেতনমহল মনে করেন, বিদ্যুৎ নিয়ে জনগনকে ক্ষেপিয়া তুলছে বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা। এদের চিহ্নিত করে চাকরী চুত করার দাবী জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।
লোডশেডিং নিয়ে অভিযোগ কেন্দ্রে কথা হয়। তিনি বলেন আমরা দুই যায়গা থেকে বিদ্যুৎ পাই একটা গ্রীড থেকে আর একটা জেনারেশন থেকে। আবাসিক এলাকায় চলে গ্রীডের, আর শিল্প কারখানায় জেনারেশন থেকে সাপ্লাই দেয়া হয়। আর বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় দেয়া হয়। লোডশেডিং নিয়ে কথা বলতে জিএমকে ফোনে পাওয়া যায়নি। #