হাত পা বেঁধে নাসরিন আক্তার হত্যার রহস্য উন্মোচন | মুল ঘাতক গ্রেপ্তার


নারায়ণগঞ্জের খবর প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের নাসরিন আক্তার (৪০) ক্লুলেস হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করেছে হত্যা মামলার মুল ঘাতক কমল ওরফে কুদ্দুসকে (৩৫)। নাসরিন আক্তারে সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের করতে গিয়ে ব্লাকমিলিয়েংর শিকার হওয়ার ক্ষোভের জের ধরে হাত পা বেঁধে গলায় লালসালু পেচিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স কক্ষে জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, এটি ছিলো সম্পূর্ণ একটি ক্লুলেস মার্ডার। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে এই হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন করে মুল ঘাতক কমল ওরফে কুদ্দুসকে রংপুরের কুড়িগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে। বাকি আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, গত ১৯ মে সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন জালকুড়ি পশ্চিমপাড়া সিমা ডাইংয়ের পাশে ফাঁকা বালুর মাঠে নাসরিন আক্তার নামে এক নারীর মৃত দেহ হাত ও পা বাধা অবস্থায় পাওয়া যায়। এই হত্যার ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নিহত ওই নারীর পিতা আশরাফ দেওয়ান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নাসরিন হত্যার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে এবং গত রবিবার চিলমারীতে অভিযান চালিয়ে কমলকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে কমল স্বীকার করেছে যে জানায় যে, গত ১৯ মে রাতে সে ও অভির উদ্দিন সহ জালকুড়ির পাংখা শাহ মাজারে সাপ্তাহিক ওরশে গান শুনতে যায়। ওরশের গান শেষে রাত অনুমান সোয়া ৩ টায় নাসরিন আক্তারের এর সাথে পরিচয় হয় ও এক সাথে চা পান করে। এর পরে অভির উদ্দিনের সাথে ভিকটিমের অর্থের বিনিময়ে একান্ত সময় কাটানোর কথা হলে ভিকটিম সম্মত হয়। এর ধারাবাহিকতায় কমল ও অভির উদ্দিন ভিকটিমকে েিয় একটি জরাজীর্ণ পরিত্যক্ত ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় নাসরিনের মোবাইলে একটি ফোন কল আসে এবং সে মোবাইলে কথা বলতে বলতে বাইরে যায়। তাৎক্ষনিক ঘরে দুই জন পুরুষ প্রবেশ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে কমল ও অভির উদ্দিনের কাছ থেকে নগদ ৯ হাজার ৪শ’ টাকা নিয়ে যায়। এতে কমল ও অভির উদ্দিন ভিকটিমের উপর ক্ষিপ্ত হয়। পরবর্তীতে কমল ভিকটিমকে আরো টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের সাথে আরো সময় কাটানের জন্য বলে।
নাসরিন রাজি হলে তাকে জালকুড়ি থানাধীণ তালতলা খালপাড় বালুর মাঠে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পৌছালে কমলের গলায় থাকা লালসালু কাপড় দিয়ে নাসরিনের হাত বেঁধে এবং নাসরিনের গায়ের ওড়না দিয়ে দুই পা বেঁধে লালসালু দিয়ে ভিকটিমের গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে কমল ও অভির উদ্দিন দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ভাড়া বাসায় এসে উভয়ই গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। আসামী কমলকে গ্রেপ্তারের পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তি মতে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ঘটনার সময় আসামীর পরিহিত সাদা লুঙ্গি ও গেঞ্জি উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। #