হাই স্কুলে শিক্ষকরা বিটের নামে জুয়া খেলায় অভিবাবকরা ক্ষুব্দ | ক্লাসে বিঘ্ন
নারায়ণগঞ্জের খবর ডেস্কঃ নারায়নগঞ্জ হাই স্কুলে শিক্ষকদের মধ্যে এখন চলছে প্রতিমাসে টাকার বিনিময়ে বিট (লটারী) খেলা। শিক্ষকরা স্কুলের মধ্যে এ ধরনের টাকা দিয়ে বিট খেলায় আসক্ত হয়ে পড়ায় বিঘ্ন ঘটছে পড়াশুনায়। অনেক শিক্ষক এ ধরনের বিট খেলায় অংশ না নেয়ায় তাদের চাকরী থেকে ছাটাই করার হুমকি দিচ্ছে লটারীতে অংশ নেয়া শিক্ষকদের একটি অংশ। শিক্ষকদের এধরনের অনৈতিক কাজে ক্ষুব্দ হয়ে উঠছেন অভিভাবকরা। জানা গেছে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্ন হওয়ায় অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে নারায়নগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজের গভনিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান এবং শিক্ষক সাথী সাহা প্রত্যেক শিক্ষকের কাছ থেকে বিট খেলায় অংশ নেয়ার জন্য প্রতিমাসে বাধ্যতামুলক ভাবে এক হাজার টাকা করে প্রদান করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। এসব টাকা লটারীর মাধ্যমে বিতরন করা হবে। একজন শিক্ষক জানান, প্রতিমাসে দেড়লাখ টাকা উঠানো হবে এবং একজন লটারীর মাধ্যমে সব টাকা নিয়ে যাবেন। এটা তারা খেলা হিসেবে দেখছেন কিন্তু প্রকৃত অর্থে লটারী কিংবা জুয়া বলা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন গত একসপ্তাহ যাবত প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ভুইয়া সহ শিক্ষক মাহবুবুর রহমান এবং সাথী সাহা র্মরত শিক্ষকদের বাধ্য করছেন একহাজার টাকা করে তাদের কাছে জমা দিতে। অনেকেই এর প্রতিবাদ করলে প্রধান শিক্ষক তাদের চাকুরী থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন।হেডমাষ্টার নাকি গভনিং বডির সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীলের অনুমোদন নিয়ে এ বিট খেলা শুরু করেছেন।অনেকেই বাধ্য হয়ে মাহাবুবুর রহমান এবং সাথী সাহার কাছে এ টাকা জমা দিচ্ছেন। তারা অভিযোগ করেন শহরের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের লটারী খেলা হয়। শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান এ ধরনের বিট খেলার সাথে সম্পৃক্ত। এখন তিনি নারায়নগঞ্জ হাই স্কুলে শিক্ষকদের মধ্যে বিট খেলার প্রচলন শুরু করেছেন। এ ব্যাপারে শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান জানান,এটি একটি খেলা। শহরের বিভিন্ন স্থানে সমবায় সমিতির নামে খেলা হয়। বিট খেলা হিসেবে পরিচিত। আমরা এটা কে নারায়নগঞ্জ হাই স্কুে শিক্ষকদের মাধ্যমে শুরু করেছি।
লটারীর মাধ্যমে প্রতিমাসে এটাকা একজন শিক্ষক পাবেন।গভনিং বডির অপর শিক্ষক প্রতিনিধি আবদুর রহিম জানান এটি অলিখিতভাবে টাকার বিনিময়ে লটারী কিংবা জুয়া খেলা। আমি এর প্রতিবাদ করেছি। প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ভুইয়া জানান,শিক্ষকরা বিট খেলায় সম্পৃক্ত ওয়ায় আমি গভনিং বডির সভাপতিচন্দন শীলের অনুমোদন নিয়ে শুরু করার অনুমোদন দিয়েছি।
স্কুলের অভিভাবক সুনীল সাহা জানান গত কয়েকমাস যাবত স্কুলের পড়ার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাশ করছে না। গত সিটি পরীক্ষায় মাত্র ২৬% শিক্ষার্থী পাশ করেছে। এখন শিক্ষকরা বিট খেলা নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত থাকে। নিয়মিত ক্লাশ হয় না। অভিভাবকরা এজন্য ক্ষুব্দ হয়ে উঠছে বলে তিনি জানান। #