এই সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না: আলাল
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের ত্রুটি ইতোমধ্যে প্রমাণিত। তাছাড়া ইসিতে যতো ভালো লোকই আনা হোক না কেনো, এমন কী এই সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশনে ফেরেশতা বসিয়ে দিলেও নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সরকারের পদত্যাগ ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় আলাল বলেন, চট্টগ্রামে বিএনপির গণসমাবেশে বিপুল লোকসমাগম হয়েছে। সেখানে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাংশের অতি উৎসাহী কর্মকর্তার কারণে অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাই করা হোক না কেনো, বিএনপির এই গণসমাবেশে জনস্রোত ঠেকাতে পারবে না। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে সীমাহীন অনিয়মের কারণে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে ইসি। রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন বন্ধ করার কথা। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন বন্ধ করেছেন। তাদের কথা ডিসি-এসপিরা মানে না। যত ভালো মানুষ হোক না কেন আওয়ামী লীগের অধীনে কেউ ভালোভাবে কাজ করতে পারবে না। বিএনপির এই নেতা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনেও জোরপূর্বক ফল ছিনতাই করে নিজেদের প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। এখন সব নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠানো হচ্ছে। আসলে নির্বাচন কমিশন এখন জাতীয় নির্বাসন কমিশন। আলাল বলেন, এই সরকারকে দেশের মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। জনগণ আমাদের সঙ্গে শামিল হচ্ছেন। জনগণের সম্মিলিত আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হবে। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে, তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের পথ সুগম হবে। সংগঠনের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও মোফাজ্জল হোসেনের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক, তাঁতি দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির, ছাত্রদলের সাবেক নেতা জহিরউদ্দিন তুহিন প্রমুখ।