শিরোনাম
শুল্ক ইজারাদার জখমে খান মাসুদ সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
বন্দর প্রতিবেদকঃ শীতলক্ষা নদীর পূর্বপাড়ে শুল্ক আদায় ও লেবার হ্যান্ডলিং টাকা তুলতে গিয়ে খান মাসুদ বাহিনী হামলায় মাছুম আহাম্মেদ (৪২) নামে এক শুল্ক ইজারাদার রক্তাক্ত জখম হয়েছে । স্থানীয়রা আহত ইজারাদার মাছুমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
এ ঘটনায় আহত শুল্ক ইজারাদার মাছুম আহাম্মেদ সংশ্লিস্ট হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে যুবলীগ নেতা খান মাসুদসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও আরো ১০/১২ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। আহত মাছুম আহাম্মেদ বন্দর আমিন আবাসিক ১নং গলি এলাকার মৃত জামাল মিয়ার ছেলে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর আমিন আবাসিক এলাকার মৃত জামাল মিয়ার ছেলে মাছুম আহাম্মেদ গত ২০২৩ইং হইতে ২০২৪ইং পর্যন্ত বন্দরের সোনাকান্দা ঘাট হইতে কাঁচপুর ব্রীজ পর্যন্ত শীতলক্ষা নদীর পূর্বপাড় এলাকায় উঠানামাকৃত মালামালের শুল্ক আদায় ও লেবার হ্যান্ডলিং এর দায়িত্ব পায়।
এর সূত্র ধরে বন্দর খানবাড়ি এলাকার মৃত সামছুদ্দিন খানের ছেলে খান মাসুদ বন্দর ছালেহনগর এলাকার মোবারক হোসেন মিয়ার ছেলে ডালিম হায়দপার পূর্ব হাজীপুর এলাকার পাভেল র্যালী আবাসিক এলাকার মৃত গোলাম হোসেন মিয়ার ছেলে গোলাম সারোয়ার সবুজ আমিন আবাসিক এলাকার ৩নং গলি এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে সুজন ও চর ধলেরশ্বরী এলাকার মৃত আনিছ মিয়ার ছেলে পারভেজ ওরফে কসাই পারভেজসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন সন্ত্রাসী ইজারাদারের অনুউপস্থিতিতে বন্দর খেয়াঘাট এবং বন্দর অটোস্ট্যান্ডে চাঁদায় আদায় করে আসছে। উল্লেখিতদের কারনে কোন রকম শুল্ক আদায় করতে পারত না শুল্ক ইজারাদার মাছুম আহাম্মেদ।
ইজারাদার শুল্ক আদায় করতে আসলে উল্লেখিত বিবাদীরা ইজারাদারকে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। এর জের ধরে গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় শুল্ক ইজরাদার মাছুম আহাম্মেদ শুল্ক আদায় করলে বন্দর ঘাটে আসলে ওই সময় সময় ৪নং বিবাদী সবুজ ও ৫নং বিবাদী সুজন এবং ৬নং বিবাদী পারভেজ ইজারাদার মাছুমকে দেখে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে সে সাথে শুল্ক উঠাতে বাধা নিষেধ করে। এ ঘটনায় ইজারাদার মাছুম প্রতিবাদ করলে উল্লেখিত আসামীরা খান মাসুদের উপস্থিতিতে শুল্ক ইজারাদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেদম ভাবে পিটিয়ে নগদ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। #